প্রতি বছর দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে প্রচুর বাংলাদেশী। এ বাবদ বছরে তাদের অন্তত ৩৫০ কোটি ডলার ব্যয় হচ্ছে বলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্যে উঠে এসেছে। এ ব্যয়ের পরিমাণ আরো বেশিও হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে চিকিৎসা খাতে গত অর্থবছর (২০২২-২৩) বাংলাদেশীদের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের পরিমাণ দেখানো আছে ১৭ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) এর পরিমাণ ছিল ৩২ লাখ ডলার। সে অনুযায়ী, বিদেশে বাংলাদেশীদের চিকিৎসা ব্যয়ের দশমিক ১ শতাংশের তথ্যও ব্যাংক খাত তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে নেই।
গত ডিসেম্বরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করান বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী। ওই অস্ত্রোপচারের ফি বাবদ তাকে ৪০ হাজার ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে নিজের আরএফসিডি অ্যাকাউন্টের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে পুরো অর্থ পরিশোধ করেছেন তিনি। কার্ডে পরিশোধের পরও ওই ব্যয় চিকিৎসা খাতে দেখানো সম্ভব হয়নি।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ওই শীর্ষ নির্বাহী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য আমাকে একসঙ্গে ৪০ হাজার ডলার ফি পরিশোধ করতে হয়েছে। এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে পরিশোধ করতে চাইলে বহু ঝামেলা পোহাতে হতো। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ, চিকিৎসার যাবতীয় নথিপত্রসহ অনেক কিছু জমা দেয়ার প্রসঙ্গ আসত। আমার মতো মানুষের পক্ষেও সেসব জোগাড় করা সম্ভব হতো না। এ কারণে আরএফসিডি অ্যাকাউন্টের ডেবিট কার্ড থেকে পুরো অর্থ একসঙ্গে আমি পরিশোধ করে দিয়েছি। লেনদেনটি শতভাগ বৈধ হলেও সেটি চিকিৎসা খাতের ব্যয় হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে লিপিবদ্ধ হয়নি। চিকিৎসাসংক্রান্ত ব্যয় সহজ ও দ্রুততার সঙ্গে অনুমোদন পেলে বহু মানুষ আইন মেনে চলবে। কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থায় সেটি একেবারেই সম্ভব নয়।’
বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, তাদের খুব কমই এ বাবদ বৈদেশিক মুদ্রা পরিশোধ করছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স করানোর পর বিদেশে গিয়ে তাদের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি।
প্রতি বছর বিদেশে কতজন বাংলাদেশী চিকিৎসা নিচ্ছে, এটিরও প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, চিকিৎসা ভিসা ছাড়াও ভ্রমণ ভিসায় মানুষ বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছে। চিকিৎসা ভিসা অপরিহার্য শুধু বিদেশে অস্ত্রোপচার করাতে। ধারণা করা হয়, প্রতি বছর অন্তত ৩০ লাখ মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের পছন্দের শীর্ষ গন্তব্যগুলো ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।
বিদেশে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য বিত্তবানদের অনেকেই ব্যবহার করছেন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগেরই গন্তব্য থাকে প্রতিবেশী ভারত বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর। প্রতিবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারে দূরত্ব ভেদে ব্যয় হয় ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা। ভারত ও থাইল্যান্ডের দুটি হাসপাতালের বাংলাদেশ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ব্যাংকক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিতে ব্যয় হয় কমপক্ষে ২৯ হাজার ৫০০ ডলার। ভারতের চেন্নাই গেলেও কাছাকাছি পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত এ অর্থ নগদে পরিশোধের জন্য সেবাগ্রহীতাদের উৎসাহিত করে থাকে। এছাড়া তা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধেরও সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পরিশোধ হয়েছে ৩২ লাখ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা আরো কমে নেমে আসে ১৭ লাখ ডলারে। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিদেশে স্বাস্থ্যসেবা বাবদ বাংলাদেশীরা ব্যয় করেছেন ১০ লাখ ডলার।
আবার বিডার এক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ থেকে বছরে কমপক্ষে ৭ লাখ মানুষ চিকিৎসা ভিসায় বিদেশ যাচ্ছেন, সেখানে তাদের ব্যয় হয় ৩৫০ কোটি ডলার। যদিও স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের জোর সন্দেহ, প্রকৃতপক্ষে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহীতার সংখ্যা ও তাদের ব্যয় এর চেয়ে অনেক বেশি। আবার বিডা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যকে একসঙ্গে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশীদের বিদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের দশমিক শূন্য ৫ শতাংশেরও কম গেছে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে।
ব্যাংকার ও স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিডার পরিসংখ্যানটি তৈরি হয়েছে শুধু ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া ব্যক্তিদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। সুতরাং এ বাবদ প্রকৃত ব্যয় বিডা উল্লিখিত পরিমাণের চেয়ে বেশি। আবার বিদেশে চিকিৎসা ভিসা ছাড়া অন্যান্য ভিসায় গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন বাংলাদেশীরা। এমনকি এ বাবদ প্রকৃত ব্যয়ের চিত্র বিডার তথ্যের তিন-চার গুণ বেশি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বিদেশে স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়গুলোকে চিহ্নিত করার মতো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশে। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়গুলোর কোনো হিসাব ব্যাংকের কাছে থাকে না। আবার এ-সংক্রান্ত অনুমোদনের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া বেশ জটিল। ফলে অনেকেই ডলার সংগ্রহ করছেন কালোবাজার, মানি এক্সচেঞ্জার বা অনানুষ্ঠানিক মাধ্যমে। এতে অবৈধ হুন্ডির বাজার আরো শক্তিশালী হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসার ব্যয়টি হুন্ডিতে লেনদেন হচ্ছে। বাংলাদেশীরা চিকিৎসার জন্য প্রধানত ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর বেশি যাচ্ছেন। ডলারের পাশাপাশি এ তিন দেশের মুদ্রাই যেকোনো মানি এক্সচেঞ্জে পাওয়া যায়। এ কারণে মানুষ পকেটে করে কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে নগদ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ ভ্রমণ কোটার অর্থে চিকিৎসা করছে। ব্যাংকের মাধ্যমে চিকিৎসা খাতের ব্যয় মেটাতে গেলে অনেক নথিপত্রের প্রয়োজন। এ কারণে সাধারণ মানুষ চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাংক এড়িয়ে চলে। পদ্ধতিটি সহজ হলে বিদেশে চিকিৎসাগ্রহীতাদের পাশাপাশি দেশও উপকৃত হতো। হুন্ডির তৎপরতা ও বাজার কমে আসত।’
বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে তার ন্যূনতম পরিমাণও ব্যাংকের মাধ্যমে যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘বিদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাংকের যে অর্থ যাচ্ছে তা প্রকৃত চিত্রের নগণ্য পরিমাণ। অনেকেই মানি এক্সচেঞ্জারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা কিনছেন। ব্যাংক থেকে নিলে সেই হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে থাকছে। আবার মানি এক্সচেঞ্জারগুলো সঠিক হিসাব না দিলে তা থাকছে না। অন্যদিকে মানুষ এনডোর্স অর্থের বেশি নিয়ে যায়। অন্য একটি বিষয় হলো ক্রেডিট কার্ডে খরচের খাত বলা হয় না।’
এ স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদের মতে, ‘নাগরিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ব্যবস্থা একটি রাষ্ট্রের নিজস্ব উৎস থেকে করা উচিত। অন্য দেশের ওপর নির্ভর করলে তা নিজ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি। একই সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্যও বিদেশে চলে যাচ্ছে। এতে বিদেশীরা দেশে এসে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান খুলবে। তারা সব চিকিৎসা এখানে দিতে পারবেন না বলে কোনো কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগাক্রান্তকে নিয়ে যাবেন। এতে দেশের বাইরে বাংলাদেশের নাগরিকের দীর্ঘ সময় থাকতে হবে। তাতে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ বাড়বে। ফলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা আরো দুর্বল হয়ে পড়ার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে আস্থার সংকটও আরো প্রকট হবে।’
বিদেশে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশীদের পছন্দের তালিকায় ভারত শীর্ষে রয়েছে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের এক পিএইচডি গবেষণায় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, চিকিৎসার প্রত্যাশায় ভারত গমনের হার প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগীদের সর্বোচ্চসংখ্যক ক্যান্সারে আক্রান্ত। মোট রোগীর ২১ শতাংশ ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন বিদেশে। এরপর ১৮ শতাংশ হৃদরোগ, ১৩ শতাংশ যাচ্ছেন প্রজনন জটিলতার কারণে। আর অন্যদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগী যাচ্ছেন অর্থোপেডিক, গ্যাস্ট্রোঅ্যান্ট্রোলজি, লিভার, কিডনি, চোখ, কান ও স্নায়বিক চিকিৎসার জন্য।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অস্ত্রোপচার না লাগলে বেশির ভাগই ভ্রমণ ভিসায় চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। কত মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন এবং খরচ হচ্ছে তার প্রকৃত তথ্য নেই। তবে আমরা স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় নিয়ে নতুন একটি গবেষণা করছি। যেখানে এ বিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। তবে তা নমুনাভিত্তিক হওয়া সঠিক চিত্র হবে না।’
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসক ও সেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সে অনুপাতে আস্থা তৈরি হয়নি। একই সঙ্গে দেশের সব অঞ্চলে সমানভাবে বিশেষায়িত সেবা পৌঁছেনি। নির্ভুল রোগ নিরীক্ষা, বিশেষায়িত চিকিৎসা না পাওয়া ও প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব সংকটের কারণে রোগীদের বড় একটি অংশ চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন বিদেশে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক জার্নাল প্রকাশনা সংস্থা ফ্রন্টিয়ার্স ‘ডিটারমিনেন্টস অব বাংলাদেশী পেশেন্ট ডিসিশন মেকিং প্রসেস অ্যান্ড স্যাটিসফেকশন টুওয়ার্ড মেডিকেল ট্যুরিজম ইন ইন্ডিয়া’ শিরোনামের গত বছর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ভারতের হাসপাতালগুলো বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশী রোগী পায়। তবে মেডিকেল ভিসা ছাড়াও অন্যান্য ভিসা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণের তথ্যও রয়েছে এতে।
বাংলাদেশ থেকে বছরে বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায় এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশীরা যেমন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়, তেমনি বিদেশীরাও বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য আসছেন। যারা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন, তাদের বাধা দেয়া যায় না। তবে তারা যেন দেশে চিকিৎসা নেন, তার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। স্বাস্থ্যসেবায় আস্থা বাড়াতে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের চিকিৎসকরা অনেক দক্ষ। চিকিৎসার জন্য বিদেশগামীদের অর্থ যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে খরচ হয়, তার জন্য আমরা চেষ্টা করব।’
Bonik Barta