ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে ঢাকা সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি বিএনপি। এতে হতাশা প্রকাশ করেছে প্রতিনিধিদলটি। রোববার (৩০ জুলাই) প্রতিনিধিদলটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ হতাশার কথা জানায়।
প্রতিনিধিদলের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের টেনেট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা টেরি এল ইসলে বলেন, আমরা নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এসেছি। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আমরা বৈঠক করছি। বিএনপির সঙ্গেও আমরা বৈঠকে বসতে চেয়েছিলাম। নির্বাচন নিয়ে তাদের উদ্বেগ শুনতে চেয়েছিলাম। তবে, আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়নি তারা। এ কারণে আমরা হতাশ। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গেই বৈঠকে বসতে চেয়েছিলাম। তাহলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতো।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন প্রতিনিধিদলটি। তবে, প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে না থাকায় বৈঠক হয়নি। প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করে প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেয়ে চলে যান প্রতিনিধিদলটি।
প্রতিনিধিদলের আরেক সদস্য আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষক নিক পউল বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি নেই। তাই, সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
এর আগে সকালে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে এ প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে প্রতিনিধিদলেন সদস্য টেরি এল ইসলে বলেন, আপনাদের সংবিধান তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থন করে না। এটি করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যদি এটি ভালো আইডিয়া হয়ে থাকে, যদি তারা (ইসি) এটা করতেও চায়, এখন করতে পারবে না। কারণ, এটি করার কোনো আইনি কাঠামো নেই। এই মুহূর্তে এটা করা সম্ভব নয়।
টেরি এল ইসলে মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না, উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের সদস্য হিসেবে আমরা মনে করি, এ সরকারের অধীনে কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গত ২৮ জুলাই থেকে ঢাকা সফর করছে।
ইত্তেফাক/এনএ/এএইচপি