বিজিবি’র লাশ ভারতের মাটিতে রেখে মন্ত্রী বৈঠক করলেন প্রণয় ভার্মার সাথে বন্দর ব্যবহারে ভারতীয়দের সুবিধা দেওয়া নিয়ে

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফ লাশ ভারতে নিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরও ফ্যাসিবাদী সরকারের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বললেন এ গুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বাংলাদেশের বিজিবি’র সদস্যের লাশ যখন ভারতের মাটিতে পড়ে আছে তখন এই প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে বৈঠক করেন পায়রা বন্দর ও মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরে ভারতীয় সুবিধাভোগের বিষয় নিয়ে।

মঙ্গলবার (২৩শে জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেন।

সোমবার (২২শে জানুয়ারি) রাতে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবির সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন নিহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না-একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘না, এগুলো আলোচনা হয়নি, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’

ভারতীয় হানাদার বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীর মৃত্যুকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী পায়রা বন্দর এবং মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর নিয়ে ভারতের আগ্রহের বিষয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মনোনিবেশ করেন। তিনি বলেন, ‘সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বলেছি, পায়রায় যে অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তারা ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং পায়রা বন্দর পরিদর্শনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ’

ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেহেতু তাদের সঙ্গে আমাদের সমুদ্র, নদী এবং স্থলবন্দরের একটা যোগাযোগ ও সম্পর্ক এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, সেই বিষয়গুলো আরও কীভাবে সুন্দর করতে পারি, আরও বেশি সেবা দিতে পারি, সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের দেশে যে উন্নয়ন ভারত চায় সেগুলোর সঙ্গে থাকার বিষয়ে কথা হয়েছে।’

আমার দেশ