আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যা চায় বা চেয়েছিল, সেটি পায়নি। তাই এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর এই ইস্যুতে দলটি নিশ্চুপ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি মূলত এবার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এসেছিল। তারা সেই অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছেন। বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে কাজ করবে আওয়ামী লীগ। আমরা বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু যারা প্রভু হতে চায়, তাদের দাসত্ব আমরা মানি না, মানব না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর তারা (বিএনপি) শুনতে চেয়েছিল সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসবে, ভিসানীতি আরোপ হবে। এমন স্বপ্ন নিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকেও গেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শেষ কথায় বিএনপি আশাবাদী হতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড শুনতে শুনতে কান ঝাঁজরা হয়ে গেছে। এখন তাদের গলার জোর একটু কমেছে। মুখের বিষটা আরও উগ্র হয়ে গেছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশকে প্রায় দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বেই এখন অর্থ সংকট প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের পরিমাণ আগের তুলনায় বাড়তে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ঋণখেলাপি হওয়ার কোনো রেকর্ড নেই। আমরা ঋণখেলাপি থাকব না, এটুকু বলতে পারি।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে সংকট, সেটা বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়; সারা দুনিয়ায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। তবে আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনও আছে। আমরা আশা করি সামনের রমজানেও জিনিসপত্র পর্যাপ্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।
সমকাল