- ২৪ ডেস্ক
কোনও ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন অপরাধের দায় একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপানো অনুচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটির মতে, অপরাধীর প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়ের চেয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই মূল বিবেচ্য হওয়া উচিত এবং একজন ব্যক্তির ভালো-মন্দের দায় একান্তই তার নিজের।

শনিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সেনাবাহিনীর পেশাদারত্ব সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিবৃতিতে বিএনপি আরও জানায়, তারা ফ্যাসিবাদের সময়কালে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তাই দলটি সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পক্ষে।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের ‘এই মাটির গর্বিত সন্তান’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, দেশপ্রেমিক এই বাহিনীকে ঘিরে জনগণের যে আস্থা ও সম্মান রয়েছে, তা কোনো ব্যক্তির অপরাধের কারণে ক্ষুণ্ণ হওয়া উচিত নয়।
বিএনপি বিশ্বাস করে, সেনাবাহিনীর অধিকাংশ সদস্যই চান সীমা লঙ্ঘনকারীরা বিচারের মুখোমুখি হোক। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোনো সরকার আর বাহিনীকে গুম-খুনের মতো অন্যায় নির্দেশ দেওয়ার সুযোগ পাবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ন্যায়বিচার শুধু অতীতের ঘটনার শাস্তি নিশ্চিত করে না, বরং ভবিষ্যতে এমন অন্যায়ের পুনরাবৃত্তিও রোধ করে। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধাই একটি শান্তিপূর্ণ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি হতে পারে।’