- by নিজস্ব প্রতিবেদক
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন, ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে। গত দুই মেয়াদে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধান অনুযায়ী আইন তৈরি ইসি গঠনের জোর দাবি উঠলেও এবারও সেই পথেই হেঁটেছে সরকার।
ফলে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকা কয়েকটি দলকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে ডাকা হলে সাড়া দিয়েছে তারা। গত ২০ ডিসেম্বর থেকে এই সংলাপ শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এতে অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি; বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, বাসদ; গণফোরাম, মন্টু অংশ ও ইসলামী আন্দোলন।
সংলাপে বিএনপির অংশ না নেয়ার কথা গত ২৯ ডিসেম্বর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৭ ডিসেম্বর রাতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির নিয়মিত সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয় বলে জানান তিনি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সবশেষ আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে সংলাপ বর্জনের ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ সময় নির্বাচনকালীন অন্তর্বতী জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া বেশ কিছু প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয় দলটির পক্ষ থেকে।
জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত চলা সংলাপে পাওয়া সম্ভাব্য ব্যক্তিদের তালিকা থেকে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ৫ জন কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সিইসি ও বাকি ৪ জন কমিশনার। গত দুবার এমনটাই হয়ে আসছে, যা এবারও অনুসরণ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন কমিশন গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন তৈরি করে ইসি গঠনের ওপর জোর দিয়ে আসছে বিরোধী দলসহ বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, এখন যে সময় হাতে আছে তাতে সেটি সম্ভব হবে না। এ জন্য আগের নিয়মে এগুচ্ছে সরকার।