- লাকসাম সংবাদদাতা ও নোয়াখালী অফিস
- ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
সস্ত্রীক বাড়ি থেকে ঢাকা ফেরার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলুর ওপর হামলা হয়েছে। এতে তার স্ত্রীসহ সাতজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ওইদিন বিকেলে নোয়াখালী থেকে সস্ত্রীক ঢাকায় ফিরছিলেন বরকত উল্লাহ বুলু। বিকেল ৫টার দিকে বিপুলাসার বাজারে স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ হোসেনের অনুরোধে যাত্রা বিরতি করেন। এ সময় বাজারের মক্কা হোটেলে তারা চা-নাস্তা খেতে বসলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বরকত উল্লাহ বুলু, তার স্ত্রী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা শরীফ হোসেন রক্তাক্ত হয়ে পড়েন।
বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে জানান, ‘নোয়াখালী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে হামলায় মা ও বাবা দু’জনই গুরুতর আহত হয়েছেন। জয়-বাংলা; শ্লোগান দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী এ হামলা করেছে। তাদের ওপর লোহার রড, ও লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করা হয়। এতে আমার বাবার মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে, সম্ভবত তার ডান হাত ভেঙে গেছে।’
রাজু, ফারুক ও গাড়িচালক আলী।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ সুলতান খোকন বলেন, বাড়ি থেকে ঢাকা ফেরার পথে বরকত উল্লাহ বুলু সাহেবের গাড়ির চাকা পাংচার হলে তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতা শরীফ হোসেনকে ফোন দেন। এ সময় শরীফ সাহেব চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তারা চা-নাস্তা খেয়ে বের হওয়ার সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীরা লাঠি-সোটা, লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে কুমিল্লা নেয়া হয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নাথেরপেটুয়া ফাড়ি ইনচার্জ জাফর ইকবাল বলেন, কে বা কারা হামলা চালিয়েছে জানি না। খবর পেয়ে নাথেরপেটুয়া ভূঁইয়া মেডিক্যালে বরকত উল্লাহ সাহেবকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আলম বলেন, ‘তিনি কোনো ইনফরমেশন ছাড়াই স্থানীয় মক্কা হোটেলে এক বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় হামলা হয় বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পাশে বিপুলার বাজারে বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলুর ওপর যুবলীগের হামলা হয় । এ সময় আরো ছাত্র ও যুবদল বিএনপির চার নেতাকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা কুপিয়ে জখম করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়া, সলিমউল্লা বাহার হিরন, আবু নাছের, ওমর ফারুক টফি, ফজলে এলাহী পলাশ,নুরুল আমিন খান, সাবের আহমদ মিজান, মহিলা দলের সাহনাজ পারভিন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।