লোগো
সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নাশকতার মামলার জামিন শুনানি গতি পাচ্ছে না। নিম্ন আদালত থেকে জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর হাইকোর্টে শুনানির জন্য আসতেই দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে।
দু-একটি মামলা সিএমএম আদালত থেকে মহানগর জজ আদালতে গেলেও শুনানির তারিখ নিয়ে বাড়ছে জটিলতা। ১ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতে অবকাশ শুরু হয়েছে। তাই কারাবন্দি বিএনপি নেতারা খুব শিগগির জামিন পাবেন না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল হাইকোর্ট থেকে বিএনপি নেতা আইনজীবী নিপুণ রায় চৌধুরী নাশকতার আটটি মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। জামিন আদেশে বলা হয়েছে, আসামি নারী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হওয়ায় ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হলো। এ সময়ের মধ্যে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
তাঁর জামিনের পর কিছুটা আশার আলো দেখছেন আইনজীবীরা। আগামী বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। তাঁর জামিন মিলবে বলে আশা করছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্টে চারটি বেঞ্চ জামিন শুনানির জন্য থাকলেও একটি বেঞ্চে গতকাল একজনের আগাম অন্তর্বর্তীকালীন জামিন হলো। বাকি বেঞ্চগুলোতে আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না। এদিকে ১৮ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে অবকাশ শুরু হয়ে চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের মামলায় দলের নেতা মির্জা আব্বাস, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালেরও একই দিন ঢাকার আদালতে জামিন শুনানি ছিল। এ দিন শাহজাহান ওমরের জামিন হলেও অন্যদের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। তাদের জামিন শুনানির জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে আবেদন করা হতে পারে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলায় জামিন শুনানির জন্য ২০-২৫ দিনের ব্যবধানে তারিখ ধার্য করা হচ্ছে।
সমকাল