বিএনপি না এলেও নেতারা ঠিকই ভোটে আসবে

logo

স্টাফ রিপোর্টার

৭ জানুয়ারি ২০২৩, শনিবার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও দলটির অনেক নেতা ভোটে অংশ নেবে এবং তাদের ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন উকিল আবদুস সাত্তার। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ই ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। বিএনপি ওই আসনে উপনির্বাচনে না গেলেও উকিল সাত্তার আবারো প্রার্থী হয়েছেন। সেজন্য তিনি দলের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

আর দল তাকে বহিষ্কার করার কথা বলেছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে  চাইলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপি’র সিদ্ধান্তগুলো তো সমুদ্রের ওপার থেকে আসে। বাংলাদেশের বাস্তবতা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। তারা ১৫-১৬ বছর ধরে দেশের বাইরে। দেশের পরিস্থিতি কী সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিএনপি’র এমপিদের পদত্যাগ করা অদূরদর্শী একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। আবদুস সাত্তার সাহেবের নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে, আসলে বিএনপি’র সম্মুখসারির অনেক নেতাই নির্বাচনমুখী। তারা নির্বাচন করতে চায় এবং তাদের অনেকেই মনে করে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে প্রতিহত করার যে চেষ্টা বিএনপি করেছিল, সেটা ভুল ছিল। মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেই দোলাচলের মধ্যে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাও বিএনপি’র ভুল ছিল। অর্থাৎ, পূর্ণশক্তি নিয়ে নির্বাচন করা উচিত ছিল।

এবারো তাদের সংসদ সদস্যেদের পদত্যাগ, সেটি তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই পদত্যাগ বিএনপি’র জন্য শুভ হয়নি। উকিল আবদুুস সাত্তার সাহেবের নির্বাচন করা এটাই ইঙ্গিত দেয়, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়, বিএনপি নেতারা কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি নেতাদের ঠেকানো যাবে না নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে। ‘সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে তো উনারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে এবং উনারা সন্ত্রাসের ওপর ভর করেই রাজনীতিটা করে। আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করেছে এবং দেশ পরিচালনা করছে। আমাদের জনগণ যতদিন চাইবে, ততদিনই আমরা দেশ পরিচালনা করবো।