বিএনপি ছাড়া নির্বাচন সংকটপূর্ণ ও কঠিন হবে মন্তব্য করে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, নির্বাচন সম্পর্কে কথা বলা এখন কঠিন। পক্ষে-বিপক্ষে এবং দেশের বাইরের বিভিন্ন শক্তি নানান ধরনের কথা বলছেন। কাজেই নির্বাচন প্রসঙ্গে অনুধাবন করা সহজ না। প্রথমত: দেশের রাজনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক নয়। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় না। মানবজমিনকে তিনি বলেন, নির্বাচন যেভাবেই হোক এটা এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউসহ বৃহৎ ক্ষমতাসম্পন্নদের ওপর নির্ভর করছে। যদি তারা সমর্থন করে- নির্বাচন ঠিক হয়েছে, তাহলে নির্বাচন টিকবে। যদি কোনো কারণে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপত্তি করে- নির্বাচন ঠিক হয়নি, তাহলে দেশ এক বিশৃঙ্খলা থেকে আরেক বিশৃঙ্খলার মধ্যে পতিত হবে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, বিএনপিসহ বেশক’টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না।
বিএনপিকে ছাড়া সরকার যে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করেছেন এর পরিণতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিণতি কিছুটা অনুমান করা যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দারুণভাবে অভিযুক্ত করছে। দেশের জনসাধারণ বা সাধারণ মানুষ ভোট দেয়ার জন্য খুব উদগ্রিব এটা আমার মনে হয় না। নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে বড় কোনো উৎসবের আমেজ কাজ করছে না। এই শিক্ষাবিদ বলেন, শেখ হাসিনার একটি ব্যক্তিগত যোগ্যতা আছে। সর্বোপরি দীর্ঘদিন ধরে এই সরকার ক্ষমতায় আছেন। এর মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত যোগ্যতার পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু এখন সমাজ এবং সাধারণ মানুষের যে দাবি সে হিসেবে তো তার যোগ্যতার প্রমাণ দেখছি না। দেশে এখন জনজীবনে কি সমস্যা, আমাদের জাতি এবং রাষ্ট্রকে কি করে উন্নত করা যায় তা কিন্তু আমরা দেখছি না। দেশে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরেও সমস্যার মধ্যে থাকবে। দীর্ঘদিনের দলীয়করণের কারণে এসব হচ্ছে। সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন এখন দলীয়করণ হয়ে আছে। সরকার যাতে সুবিধামতো তাদেরকে ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।
মানব জমিন