ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিই হচ্ছে দুঃশাসনের প্রতিভূ, গণতন্ত্রবিনাশী এক রাজনৈতিক অপশক্তি। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ যখন আনন্দমুখর পরিবেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করছেন, তখন বিএনপির মিথ্যাচার আর বিদ্বেষপ্রসূত বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে।
সেতুমন্ত্রী আজ সোমবার সকালে তাঁর বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যাচারের জবাব দিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পবিত্র ঈদের দিন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বিএনপি নেতারা ঘৃণ্য এবং পরশ্রীকাতর রাজনীতির পরিচয় স্পষ্ট করেছেন। বিএনপি যে মানুষের আনন্দ-বেদনার সঙ্গে একাত্ম হতে পারে না, তার প্রমাণ পবিত্র ঈদের দিনে তাদের মিথ্যাচার ও বিষোদ্গার। তিনি আরও বলেন, সুশাসনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে দায়িত্বশীল বিরোধী দল। যারা দিন–রাত সরকারের বিরোধিতাকে রাজনীতির লক্ষ্য করে নিয়েছে, তারা সুশাসন নিশ্চিত করতে এ পর্যন্ত কী করেছে?
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের প্রকাশ্য শত্রু, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক ও উসকানিদাতা, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের প্রশ্রয়দাতা এবং ধর্মান্ধগোষ্ঠীরও উসকানিদাতা। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মর্মান্তিক গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী বিএনপি। এ দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা যাদের ঐতিহ্য এবং নিয়মিত চর্চার অংশ, তাদের মুখে সুশাসনের কথা মানায় না। এ সময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এসব কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন।’
বিদ্যুৎ খাতের ইনডেমনিটি দিয়ে মূলত আইনগতভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে—বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্যুৎ খাতের ইনডেমনিটির কথা বলার আগে বিএনপি কি ভুলে গেছে, তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি দিয়েছিল। অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় খালেদা জিয়াও ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। বিএনপির ইনডেমনিটি খুনিদের রক্ষা করার জন্য আর শেখ হাসিনা সরকার ইনডেমনিটি দিয়েছে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে।