নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি শুনেছি তিনি ছাত্রজীবনে নাটক করতেন। আমিও নাটক করেছি একসময়। উনি সুন্দর করেই বলেন, একটাই বক্তব্য, প্রতিপাদ্য একটাই যে, বিএনপির এই নাই, বিএনপির ওই নাই-এসব।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ এই স্মরণসভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি তো উনাদের কাছে নাই, উনারা বলছেন বিএনপি নাকি সংকটে পড়েছে, বিএনপিতে অন্ধকার। তাহলে মুখে সারাক্ষণ বিএনপি কেন- আমার প্রশ্ন ওই জায়গায়। আপনার মু্খে এতো আলো কেন বিএনপির?
তিনি বলেন, আসলে তারা জানেন, বিএনপি-ই পারে দুঃশাসনের পতন ঘটিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে।
জনগণকে জিম্মি করে সরকার দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক চেতনা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়ে, গণতন্ত্রের মোড়কেই একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের ভয়ে বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। আন্দোলনের মাঠে বেগম জিয়া থাকলে সরকারের পতন ঘটত।
জিডিপির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ওদের (সরকার) খারাপ লেগেছে আমি বলেছিলাম যে, আপনারা মিথ্যা কথা বলছেন উন্নয়নের কথা বলে, জিডিপি সম্পর্কে…। খারাপ লাগার তো কিছু নেই- দ্যাটস এ রিয়েলিটি।
তিনি বলেন, আপনি যেকোনো কৃষকের কাছে যান, আপনি রিকশাচালক ভাই, শ্রমিক ভাইয়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে, তারা কেমন আছেন? তার কোনো উন্নয়ন হয়েছে? উন্নয়ন হয়েছে আপনাদের, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মশিউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম।