today-is-a-good-day

বারবার রক্তাক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম,আসল দায় কার??

 

বিগত কয়েকবছর থেকে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পার্বত্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো।যার ফলস্বরূপ কিছুদিন পরপরই সেখানে গোলাগুলি, মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। পারিপার্শ্বিক কিছু মদদে এমন টা ঘটে যাচ্ছে।

মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামে ২ টা বিদ্রোহী গ্রুপের কারনে এমন টা ঘটে যাচ্ছে। দুইটা গ্রুপ হলো জেএসএস এবং ইউপিডিএফ।

গঠনতন্ত্রের দিক থেকে জেএসএস গঠন হয় আগে।১৯৭২ সালে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শন্তু লার্মার হাত ধরে জেএসএস এর আত্মপ্রকাশ ঘটে।শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে একের পর এক ঘুম, খুন,ধর্ষণ, চাঁদাবাজির মতো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।পরবর্তী সময়ে তারা সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি করলেও তা ধরে রাখতে পারেনি।

বিভিন্ন সময়ে শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে তারা আইন বিরোধী কার্যকলাপ ঘটিয়ে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ অপজিশন গ্রুপের সাথে হত্যার মতো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।পাশাপাশি অশান্তি বিরাজ করছে পুরো পাহাড়ি এলাকা জুড়ে।

জেএসএস এর অপজিশন গ্রুপ আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে।কিন্তু,তারা পরে গঠন হলেও কিছু প্রতিবেশী দের মদদে জেএসএস থেকেও আগ্রাসী হয়ে উঠে। তারা কোন প্রকার শান্তি চুক্তি না করে নিজেদের শক্তিমত্তায় জানান দিতে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।

কিছুদিন পরপরই পাহাড়ে টহলরত বিজিবি,পুলিশ,আর্মির উপর আতংকিত হামলা চালিয়ে বসে।কিছুকিছু সময় তাদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়াতে হয়।যার ফলস্বরূপ তাদের অনেকেই সংঘর্ষে প্রান হারায়।

এর বিরুদ্ধে প্রায়সময়ই চিরুনি অভিযান করা হয়।ফলে অস্ত্র, চাঁদার রশিদ সহ আটক হয় অনেকেই।কিন্তু তার পরেও তারা তাদের আগ্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি গতকাল সেনাবাহিনীর টহলের সময় হঠাৎ আক্রমণ করে বসে ইউপিডিএফ সদস্যরা। এতে তাদের ৩ জন প্রান হারায় এবং সেনাবাহিনীর একজন গুরুতর আহত হয়।

এসব দমনে সরকার নতুন র্যাবের স্থায়ী ঘাঁটি করতে যাচ্ছে পার্বত্য এলাকায়।যার একান্ত টার্গেট থাকবে এসব দমন করা।

খুব শীগ্রই চিরুনি শুদ্ধি অভিজানে নামবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পার্বত্য এলাকায় যারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য কোনদিন সফল হবেনা।বাংলাদেশ যুদ্ধ নয় শান্তি তে বিশ্বসি।

কিন্তু এই শান্তির মধ্যে কেউ যদি একফোঁটা অশান্তির ঘি ঢালে তার পরিনাম কোনদিন ভালো হয় নাই।যারা আমাদের সেনাবাহিনীর পূর্বের অপারেশনের খবর রাখেন তারা অবশ্যই জানেন আর্মির ক্ষমতা সম্পর্কে।

তবে এই নিয়ে পাহাড়ে থাকা আদিবাসীদের খারাপ ভাবা যাবেনা।যারা কখনো পাহাড়ি এলাকায় গিয়েছেন তারা অবশ্যই পাহাড়ি মানুষের আচার আাচরন সম্পর্কে জানেন।অত্যন্ত সরল মানুষ তারা।কিন্তু, আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের কারনে আজ তাদের এই অবস্থা।

খুব শীগ্রই চিরুনি অভিযান শুরু হবে পাহাড়ে।সেনাবাহিনীর উপর হামলার পরিনাম কখনোই ভালো হয় নাই,হবেও না।

 

©নাজমুল হৃদয়..এনালিস্ট এবং ব্লগার