বাবার মৃত্যুতেও প্যারোলে মুক্তি মেলেনি ছাত্রদল নেতা মিঠুর

বাবার মৃত্যুতেও প্যারোলে মুক্তি মেলেনি ছাত্রদল নেতা মিঠুরফাইল ছবি

বাবার শেষ মুখ দেখাটাও ভাগ্যে জোটেনি কারাবন্দি ছাত্রদল নেতা ইবরাহিম কবির মিঠুর। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। গত ২৯ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়। এখনও সেখানেই বন্দি আছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতে তার বাবা দাউদ আলী মোড়ল বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। পরিবারে এক বোন আর সাত ভাইয়ের মধ্যে মিঠু সবার ছোট। বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাজনৈতিক সহকর্মীরা ছুটে যান আদালতে। আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। সেখানে না মঞ্জুর হওয়ার পর যান ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখানে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন। তবে সেটাও হয়নি।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে- মিঠুর দল বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। সেখানে তাকে কিভাবে প্যারোল দেওয়া হবে? অনেক চেষ্টা করেও বাবার মুখটা শেষবারের মতো দেখার সুযোগ হয়নি মিঠুর।

তিনি বলেন, সবার ছোট হওয়ায় মিঠুকেই বেশি বাবা আদর করতেন। ১৯৯৮ সালে মা মারা যাওয়ার পর বাবা মিঠুকে কোলেপিঠে করে বড় করেছেন। এখন সেই বাবার মরা মুখটাও দেখতে দেওয়া হলো না। এই বিচার কার কাছে দেবো? জানা যায়, শুক্রবার তাদের স্থায়ী ঠিকানা সাতক্ষীরায় দাউদ আলী মোড়লের দাফন অনুষ্ঠিত হবে।

মিঠুর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, নিম্ন আদালতে জামিন না হওয়ায় আইন মেনে প্যারোলে মুক্তির জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আবেদন করি। চার ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে আমাদের জানানো হয়- নির্বাচনের কাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত থাকায় আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। এখানে আইনকে মানা হয়নি বলে তিনি মনে করছেন।

সমকাল