রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মতো সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ জন্য বিদ্যমান ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) আইন-২০২১’ সংশোধন করা হচ্ছে। সংশোধিত খসড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য প্রণীত ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয় ‘যমুনায়’ অনুষ্ঠেয় উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে। এ ছাড়া বৈঠকে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাবও অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করে সরকার। পরে বিষয়টি ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) আইন-২০২১’ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে এই আইনের আওতায় বিশেষ বাহিনীর নিরাপত্তা পান বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত রোববার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত এই দুই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট হয়। রিটে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন-২০২১-এর ধারা ২ (খ), ২ (গ), ৮ (১), ৮ (৩), ৮ (৪) এবং ৯ (২); যেখানে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণ’ লেখা আছে, সেগুলো অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ঘোষণার জন্য আবেদন করা হয়।
রিটে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।
ajker patrika