- গোলাম মাওলা রনি
- ১৪ অক্টোবর ২০২১
বাঙালির জীবনে জিহ্বার গুরুত্ব এবং বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে পশ্চিমা দুনিয়া এখনো মনে হয়, বেখবর। অন্য দিকে সুইডেন নামক দেশটিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করার জন্য যে কমিটি রয়েছে সেই কমিটির সদস্যরা বাঙালির জিহ্বার ক্ষমতা, কার্যকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে সামান্য ধারণা পর্যন্ত রাখেন না। আমাদের এত মহামূল্যবান একটি জাতীয় সম্পদ যার সঙ্গে পৃথিবীর অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠী তো দূরের কথা, জিন-পরী-শয়তান-ভূত-পেত্নী ইত্যাদি সশরীরী আজব সৃষ্টিকুলের জিহ্বারও তুলনা চলে না। আমাদের জিহ্বা আদিকালে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র যথা চাকু, ক্ষুর, তীর, বর্শা, ভোজালি, তলোয়ার ইত্যাদির চেয়েও বেশি রক্তপাত ঘটাতে সক্ষম ছিল। অন্য দিকে, দা-বঁটি, কোদাল-শাবল, হাতুড়ি ইত্যাদির চেয়ে বেশি শক্তিমত্তা নিয়ে কাউকে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করতেও সক্ষম ছিল সেই ব্রিটিশ-পাকিস্তানি জমানা পর্যন্ত।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে জিহ্বা দিয়ে একশ্রেণীর ‘বাঙাল’ এমন সব উচ্চ প্রযুক্তির পারমাণবিক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে যার বিবরণ শুনলে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা ভয়ে ‘জ্ঞান হারিয়ে ফেলত’। এসব বাঙালের জিহ্বার চৌম্বক শক্তি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ কিংবা মহাকর্ষণ শক্তির চেয়ে বেশি। এদের জিহ্বার লালায় যে রাসায়নিক ক্ষমতা তা পৃথিবীর সব কালনাগিনীর বিষ, সব বোম্বাই মরিচের সম্মিলিত ঝাল, সব সরিষার সম্মিলিত ঝাঁজ, সব কাঁঠালের পুঞ্জীভ‚ত আঠার আঠালো শক্তি, দুনিয়ার সব করাতের সম্মিলিত ধারালো শক্তি প্রয়োগ করে বৃক্ষ ছেদন ক্ষমতা ইত্যাদির চেয়েও অধিক মাত্রায় বিক্রিয়া ঘটাতে সক্ষম। এদের জিহ্বার বায়োলজিক্যাল ক্ষমতাও বিস্ময়কর। এর দ্বারা তারা মুহূর্তের মধ্যে কাঁচাকলা পাকিয়ে ফেলতে পারে। বড় বড় জাহাজ, উড়োজাহাজ, রেলগাড়ি, বাস, ট্রাক, পাহাড়-পর্বত, নদী-সমুদ্র ইত্যাদি সবকিছু কেবল জিহ্বার নাড়াচাড়ার মাধ্যমে ইচ্ছেমতো উলটপালট করে দিতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে বাবার নামটি পর্যন্ত ভুলিয়ে দিতে পারে।
বিরাটসংখ্যক বাঙালের জিহ্বার গঠন, প্রকৃতি এবং ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক নোবেল কমিটি, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি কমিশন, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ, মার্কিন এফবিআই, ভারতের সিবিআই এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআইসিক্স যদি সম্মিলিতভাবে গবেষণা শুরু করে তবে তারা প্রথমেই হোঁচট খাবে দু’টি কারণে। প্রথমত, এই জিহ্বার মিথ্যা বলার দুর্দান্ত ক্ষমতার উৎসমূল তারা খুঁজে পাবে না এবং দুনিয়ার কোনো প্রযুক্তি, সংস্থা বা শক্তির সক্ষমতা দ্বারা জিহ্বার মিথ্যা বলার পারঙ্গমতার কার্যকারণ নির্ধারণ যে সম্ভব নয় তা বোঝার পর তাদের মাথায় এমন চক্কর আরম্ভ হবে যে, ডাবের পানি দিয়ে ইলিশ মাছের ডিমের মিক্সার না খাওয়ানো পর্যন্ত তারা সম্বিত ফিরে পাবে না।
উল্লেখিত সম্মিলিত গবেষক দলের কাছে দ্বিতীয় যে সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করবে তা হলো- বহু মানুষের জিহ্বার বাহারি আকৃতি, গঠন প্রণালী এবং আবহাওয়া প্রকৃতি ও পরিবেশ অনুযায়ী জিহ্বার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছোট-বড় হওয়ার ক্ষমতা। এ ছাড়া জিহ্বা তার ইচ্ছেমতো হঠাৎ করে সূ² সোনামুখী সুইয়ের অগ্রভাগের মতো যেমন সূচালো হতে পারে তেমনি মুহূর্তের মধ্যে মহাভারতের মহাবীর ভীমের হাতের গদার মতো ভারী বস্তুতে পরিণত হতে পারে। এটি যেমন দ্রুততার সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে পিচ্ছিল এবং চটচটে বস্তুতে পরিণত হয়, তদ্রুপ মুহূর্তের মধ্যে আপন বৈশিষ্ট্য পাল্টিয়ে গণ্ডার, হাতি অথবা কুমিরের চামড়ার রূপ ধারণ করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মারাত্মক ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে। গবেষক দল যখন দেখবে যে, কিছু লোক লোভের কারণে যেভাবে জিহ্বা বের করে রাস্তায় চলাফেরা করে এবং তাদের সেই লিকলিকে লোভের জিহ্বার আকার-আকৃতি এবং লালা নিঃসরিত হওয়ার দৃশ্য দেখে রাস্তার নেড়ি কুকুরগুলো যখন লজ্জা-ভয়-আতঙ্কে নিজেদের জিহ্বা মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে উল্টো দৌড় মারে তখন তারা গবেষণার যন্ত্রপতি-খাতাপত্র-পেন্সিল-কলম ইত্যাদি ফেলে কুকুরের সাথে পাল্লা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করবে।
সম্মিলিত গবেষক দলের নিয়োগ কর্তারা যখন উল্লিখিত ঘটনা জানতে পারবেন তখন তারা প্রথমে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়বেন। তারপর আত্মস্থ হয়ে তারা অধিকতর শক্তিশালী গবেষক দল পাঠাবেন। তারা এসে অবচয়ন পদ্ধতিতে বাঙালির জিহ্বা পরীক্ষার পাইলট প্রকল্প হাতে নেবেন। তারা দেখতে পাবেন যে, জিহ্বার যে তিনটি অংশ রয়েছে তা সবসময় সঠিকভাবে কাজ করে না। দ্বিতীয়ত, পেশিযুক্ত এই অঙ্গটির অন্যতম প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হলো এটি সৃষ্টিকুলের সব প্রাণীর জিহ্বার মতো কম্পন সৃষ্টি করে। কোনো শব্দ শুনলে মানবের কান যে মুহূর্তে মস্তিষ্কে বিশেষ তরঙ্গের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেয় ঠিক সেই মুহূর্তে মস্তিষ্ক মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যে তরঙ্গ বার্তা প্রেরণ করে তার মধ্যে জিহ্বার কাছে প্রেরিত বার্তাটি সবচেয়ে বেশি অর্থবহ। মস্তিষ্ক কানের কাছ থেকে প্রাপ্ত তরঙ্গ বার্তার ভিত্তিতে অতি দ্রুত কিছু উপযুক্ত জবাব প্রস্তুত করে স্বরযন্ত্রে প্রেরণ করে জিহ্বার মাধ্যমে তা প্রচার করার জন্য। কিন্তু বেশির ভাগ বাঙাল জিহ্বা মস্তিষ্কের সেই তারবার্তা ফাইল চাপা দিয়ে রাখে এবং প্রাকৃতিক নিয়মের কম্পন বন্ধ করে তার সামনে যে শক্তিশালী বাঙালটি বসে জিহ্বা নাড়ায়, তার সাথে তাল মিলিয়ে নাচতে থাকে।
গবেষক দল অবাক হয়ে লক্ষ করবে যে, কিছু বাঙালের জিহ্বা, বাঘের জিহ্বার চেয়েও ধারালো। তারা খুব ভালো করে জানেন যে, বাঘের ধারালো জিহ্বা দ্বারা যদি সজোরে মানবের শরীরে লেহন করা হয় তাহলে চামড়া অস্থি মজ্জা একসাথে উঠে আসবে। অন্য দিকে কথিত বাঙালের জিহ্বার যে ধার তা অনেকটা লেজার-রশ্মির মতো ক্ষমতাসম্পন্ন। অর্থাৎ তারা যদি জিহ্বার সাহায্যে কারো চামড়া অস্থি-মজ্জা ভক্ষণ করতে চায় তবে সরাসরি লেহনকর্মে প্রবৃত্ত না হয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে জিহ্বাকে নাড়াচাড়া করলেই তাদের আক্রমণের শিকার লোকটির অস্থি-মজ্জা তো বটেই- কলিজা-ফুসফুস-ঝিল্লিসহ শরীরের ভেতরের অন্য সব তুলতুলে মাংসকে শরীরের মধ্যে বিশেষ তাপ-চাপ প্রয়োগ করে কাবাব, রোস্ট অথবা গ্রিল করে ভক্ষণ করতে সক্ষম।
কিছু লোকের জিহ্বার লেহন ক্ষমতা গবেষক দলকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলবে। তারা দেখবে যে, একশ্রেণীর জিহ্বা কিছু শ্রেণীর জুতো দেখা মাত্র সেসব জুতোর তলদেশ লেহন করার জন্য পাগল হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে জুতোর সুখতলা লেহন করার জন্য জুতোলোভী জিহ্বাকুলের মধ্যে প্রতিযোগিতা এত বেশি হয়ে পড়ে যে, ক্ষেত্রবিশেষে রক্তারক্তি পর্যন্ত ঘটে যায়। জুতো লেহনের সময় তাদের জিহ্বাগুলোর পেশিগুলো কুমিরের মুখমণ্ডলের মতো হয়ে যায় তাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যেতে পারে মাসকুলার হাইড্রোস্টাট। ফলে লেহনকর্মে নিযুক্ত জিহ্বার ‘ওরাল ক্যাভিটি’ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় তারা কোনো কিছু চিবিয়ে খাওয়ার প্রয়োজন মনে করে না, ডাইরেক্ট গপাগপ গিলে ফেলে এবং প্রকৃতির অন্যসব গিলে খাওয়ায় অভ্যস্ত ভয়ঙ্কর প্রাণীদের মতো এদের মুখের মধ্যে কোনো লালাজাতীয় পদার্থ উৎপন্ন হয় না।
গবেষক দল উল্লিখিত অভিজ্ঞতার পর যখন জুতো লেহনকারী জিহ্বার অন্য রূপ দেখতে পায় তখন তারা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়ে। যেসব জিহ্বাকে তারা কিছুক্ষণ আগে জুতার সুখতলা লেহন করতে দেখেছে তখন সেগুলো কড়কড়ে শুষ্ক ছিল। কিন্তু একই জিহ্বা যখন টাকা, নারী, মাদক ইত্যাদির সামনে রাখা হয় তখন সেগুলো এতটা চটচটে লালাযুক্ত হয়ে পড়ে যা কিনা প্রকৃতির অন্য কোনো প্রজাতির কীটপতঙ্গ সরীসৃপ বা মেরুদণ্ডী প্রাণীর জিহ্বার ক্ষেত্রে দেখা যায় না। জিহ্বার লালাগ্রন্থি এবং জিহ্বাপৃষ্ঠের শুষ্কতা-রুক্ষতা ও মসৃণতার যে বিবর্তন তা যত দ্রুততার সাথে বাঙালদের মধ্যে ঘটে তা সৌরজগতের অন্য কোনো গ্রহে যে ঘটে না সেটির বিষয়ে গবেষক দল যখন চূড়ান্ত প্রতিবেদন লিখতে যাবে ঠিক সেই সময়ে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের নিয়োগ করা অ্যানাটমিস্ট আরেকটি অদ্ভুত বিষয়ের কথা বলতে আরম্ভ করলেন।
ব্রিটিশ অ্যানাটমিস্ট যিনি কয়েক যুগ ধরে মানবের জিহ্বার রক্ত সঞ্চালন এবং বিভিন্ন রগ এবং উপরগ বা শিরা-উপশিরা নিয়ে সফলভাবে গবেষণা করছেন তিনি জুতো লেহনকারী জিহ্বার একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠলেন। তিনি লক্ষ করলেন যে, এসব জিহ্বার বেশ কয়েকটি রগ নজিরবিহীনভাবে সরাসরি জিহ্বা থেকে খাদ্যনালীতে চলে গেছে। সেখানে গিয়ে রগটি আরো মোটাতাজা হয়ে রেকটামের ভেতর দিয়ে একেবারে শেষপ্রান্তের গুহ্যদ্বার পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এই রগটির আরেকটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হলো- এটির ভেতর দিয়ে রক্তের পরিবর্তে বায়ু প্রবাহিত হয়। ফলে রগটির মাধ্যমে লেহনকারী জিহ্বাধারী প্রাণীর পাকস্থলী ও পায়ুপথের যাবতীয় রাসায়নিক গ্যাসসমূহ সরাসরি মুখ গহ্বরে পৌঁছে যায়। ফলে এসব প্রাণীর কথাবার্তার দুর্গন্ধে সমাজ সংসারে নিদারুণ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
পৃথিবীর তাবৎ জিহ্বার মতো বাঙালির জিহ্বাতেও মোট আটটি শক্তিশালী পেশি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চারটি ব্যবহৃত হয় জিহ্বা ছোট-বড় করার কাজে এবং চারটি ব্যবহৃত হয় জিহ্বা নড়াচড়া করার কাজে। পৃথিবীর অন্য কোনো প্রাণিকুলের জিহ্বার যে পেশিগুলো রয়েছে তা কখনো একসঙ্গে একই কাজে ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু তেলবাজ বাঙালি যখন জিহ্বার সাহায্যে কারো তেল মর্দনে লিপ্ত হয় তখন তার জিহ্বার আটটি পেশি একই সাথে সচল হয়ে জিহ্বাকে নাড়াচাড়া করতে থাকে। অন্য দিকে তেল মর্দনের সময় জিহ্বাতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ থাকে এবং লালা ও চটচটে বিশেষ এক ধরনের মিশ্রণের আধিক্য বেড়ে যায়।
বাঙালের জিহ্বার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি শরীরের সংবেদনশীল অঙ্গের সাথে অন্যান্য দেশের মানুষের জিহ্বার চেয়ে বেশি সংযুক্ত। ফলে সংবেদনশীল অঙ্গ উত্তেজিত হলে বাঙালের জিহ্বাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পাগলের মতো প্রলাপ বলতে তাকে। প্রাণীর দেহের যৌন উত্তেজনা, একে অপরের কাছাকাছি হবার বাসনা এবং এরোজেনাস জোন বলে পরিচিত স্পর্শকাতর এলাকায় যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে তার ফলে প্রাণীর পঞ্চ ইন্দ্রিয় একধরনের নেশার মধ্যে পড়ে যায়। সুস্থ ও স্বাভাবিক প্রাণীর শরীর ও মন এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রায় একই আচরণ করলেও তেলবাজ মানুষের জিহ্বা, যা সাধারণত জুতোর সুকতলা লেহনে অভ্যস্ত তারা এই সময়ে অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে এবং বিকৃত রুচির পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে এমন সব কাণ্ড করতে থাকে যা দেখে শয়তানও লজ্জা পেয়ে যায়। এটাকে বিজ্ঞানের ভাষায় কনজেনিয়াল ডিজঅর্ডার বলা হয় এবং এ ধরনের জিহ্বাগুলো যে রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় সেটির নাম অ্যানকিলাগ্লোসিয়া।
মানবের জিহ্বা এবং বাঙালির অভ্যাস নিয়ে এতক্ষণ অনেক স্যাটায়ার করার চেষ্টা করেছি বটে কিন্তু যে কথাটা এখনো বলা হয়নি সেটি হলো- মানবের জিহ্বাই হলো আল্লাহর দেয়া সবচেয়ে বড় নেয়ামত। এর কার্যকারিতা সীমাহীন এবং মানবের সাথে দুনিয়া ও আখিরাতের সফল সংযোগের ক্ষেত্রে জিহ্বার মতো কার্যকর অন্য কোনো হাতিয়ার দুনিয়াতে নেই। এটি মানবের কাছে তার মালিকের মস্তবড় এক আমানতও বটে। যারা এই মহামূল্যবান আমানতের সুরক্ষা করে, পরিচর্যা এবং সংরক্ষণে দক্ষতা দেখায় তাদের জন্য আসমান-জমিনের সব রহমত ও বরকত প্রাপ্য হয়ে যায়। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে জিহ্বার ফিতনা-ফসাদ থেকে রক্ষা করুন এবং আল্লাহর এই নেয়ামতটির উত্তম ব্যবহারের তৌফিক প্রদান করুন। আমিন।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য