তারেকুল ইসলাম
(১৬ ঘন্টা আগে) ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৭:০৮ অপরাহ্ন
সম্প্রতি ভারতে আয়োজিত জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেন। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে তার সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ ঘটে। সাক্ষাৎটা যেহেতু অনানুষ্ঠানিক তাই বাইডেন তার স্বভাবসুলভ আচরণ অনুযায়ী একটি সেলফি তোলেন। এই সেলফি গোটা আওয়ামী শিবিরে বয়ে আনে উল্লাস। এ সেলফি ঘিরে রীতিমতো প্রচারযুদ্ধ চলে। অথচ বিশ্বরাজনীতিতে এ ধরনের হাসিমুখের সেলফি কিংবা ফটোর বিশেষ কোনো প্রভাব নেই।
লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক গাদ্দাফির পতনের এক বছর আগেও ইতালিতে আয়োজিত জি-৮ সম্মেলনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও মুয়াম্মার গাদ্দাফি সৌহার্দ্যপূর্ণ করমর্দনসহ একসঙ্গে ডিনার করেন। এ ছাড়া ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির সঙ্গেও গাদ্দাফির ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের বিষয়টি সবার জানা। এমনকি ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারকোজিকে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গাদ্দাফি পাঁচ মিলিয়ন ইউরো দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার পর সারকোজিকে সেই অভিযোগে বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়। অথচ সেই সারকোজি প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায় ফ্রান্সকে দেখা গেল গাদ্দাফির উৎখাতে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর আগ্রাসনে অংশ নিতে।
সুতরাং, বিশ্বরাজনীতি বড়ই কঠিন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে যাদের ধারণা আছে, তারা জানেন বাইডেনের এক সেলফিতে আমেরিকার নীতি পরিবর্তন হয়ে যাবে এটা ভাবার বিষয়।
যাই হোক, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এখন আন্তর্জাতিক ইস্যু। গোটা পশ্চিমা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বাংলাদেশে একটি মডেল নির্বাচন হবে এই আশায়। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। চীন ও রাশিয়ার সমর্থন থাকা সত্ত্বেও এই চাপ মোকাবিলা করতে পারছে না সরকার। বিশেষ করে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে ভারতকে সরকারের পাশে আগের মতো প্রত্যক্ষভাবে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না। বরং জি-২০ সম্মেলনের আগে ভারতীয় দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ ভারতের সিকিউরিটি স্টাবলিশমেন্টের বরাতে জানিয়েছে, জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগদানের সময় ভারত তাকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দুটো বার্তা দিতে পারে: ১. বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে; ২. আওয়ামী লীগকে তার দল থেকে চীনপন্থি ও ইসলামপন্থিদের প্রতি অনুরাগীদের বাদ দিতে হবে। পত্রিকাটি আরও বলেছে, বার্তা দুটি বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে বিশদ ঐকমত্যের (a broad consensus) ইঙ্গিত দেয় (২১শে আগস্ট ২০২৩)। এমতাবস্থায় বাইডেনের এক সেলফিতে পরিস্থিতি বদলে যাবে- এমনটি মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। তা ছাড়া জি-২০ সম্মেলনের ঠিক আগেই রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ঢাকায় এসে যুক্তরাষ্ট্রকে শাসিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ল্যাভরভের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। সুতরাং, বাইডেনের সেলফি নিয়ে ডামাডোল বাজিয়ে হয়তো দলীয় নেতাকর্মীদের সাময়িকভাবে চাঙ্গা করা গেছে, কিন্তু মূল বাস্তবতা ও পরিস্থিতি আড়াল করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ারের পাশে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের হাঁটু গেড়ে বসার ছবি বৃটেনে সুনাককে সমালোচনার মুখে ফেলেছে। বয়স্কজনের সামনে এ ধরনের বিনয়াবনত হওয়াটা প্রাচ্যের একটি স্বাভাবিক কালচার। কিন্তু অনুমতি ছাড়া কারও এ ধরনের আটপৌরে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তোলা উচিত নয়। অথচ হীন রাজনৈতিক প্রচারণার স্বার্থে সেই ছবি তুলে ভাইরাল করে দেয়া হলো। লক্ষণীয়, সমালোচনার মূল লক্ষ্যবস্তু তুলে ধরে বৃটেনের জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি মেইল লিখেছে, ‘Rishi Sunak faces backlash over image showing him kneeling in front of Bangladesh PM Sheikh Hasina whose government has been targeted by wave of violent protests calling for free and fair elections amid reports of human rights abuses.’ (অর্থাৎ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে ঋষি সুনাকের হাঁটু গেড়ে বসার ছবি নিন্দার মুখে পড়েছে। এমন একজনের সামনে তিনি হাঁটু গেড়ে বসেছেন, যার সরকারের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চলছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট হচ্ছে)। আওয়ামী লীগের মতো একটি পোড় খাওয়া ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলকে আজ সামান্য সেলফি বা ফটোকে খড়কুটো হিসেবে আঁকড়ে ধরতে হচ্ছে। এটাও বিশ্বাস করতে হবে? তবে, সন্দেহ নেই, বৈধতার সংকটই আওয়ামী সরকারের এই রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণ।
গণতান্ত্রিক বৈধতার সংকটের কারণে চীন, রাশিয়া ও ভারত ছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষমতাসীন দলের আর কোনো বন্ধু দেখা যাচ্ছে না। তবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে পরিবারের পতনের সময় চীন এগিয়ে আসেনি। ফলে চীনের ওপর ভরসা করা কঠিন। আর ইউক্রেনে যুদ্ধরত রাশিয়া এতটাই বেকায়দায় রয়েছে যে, লিপ সার্ভিস ছাড়া বাস্তবিক কোনো পদক্ষেপ দেশটির পক্ষ থেকে আশা করা দুরূহ। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব ঠেকানোর নীতিতে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোটবদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে এবার একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে শক্ত অবস্থান নেয়ায় এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে অব্যাহত চাপের মধ্যে রাখায় ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য হচ্ছে। মিডিয়ায় মাঝেমধ্যে বাইডেনকে বাংলাদেশ বিষয়ে মোদির বার্তা দেয়ার হাইপ তোলা হলেও বাস্তবে সেরকম কিছুই পরিলক্ষিত হয়নি। এ ছাড়া ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার তৃতীয় বৃহত্তম উৎস বাংলাদেশ। ফলে আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচনের জেরে বাংলাদেশের ওপর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক স্যাংশন আসলে ভারতও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
লক্ষণীয়, বাইডেন প্রশাসন তার নতুন পররাষ্ট্রনীতির আলোকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভূকৌশলগত পরিবর্তন এনেছে। দু’বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর কেলি কেইডার্লিং ঢাকার একটি ইংরেজি দৈনিককে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে এখন নতুন চোখে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক কূটনীতির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর উপ-সহকারী সচিব। ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘The Biden administration has decided, bureaucratically inside the State Department, to separate India from five other South Asian countries to deepen US relationships with them, and there will be devoted officials for that purpose.’ (21 November 2021, the Daily Star). (অর্থাৎ, বাইডেন প্রশাসন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভেতরে আমলাতান্ত্রিকভাবে অন্য পাঁচটি দক্ষিণ এশীয় দেশকে ভারত থেকে আলাদা করার এবং ওই দেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও গভীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে নিবেদিত কর্মকর্তারা সক্রিয় থাকবে)।
সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তিত নীতি ও কৌশলের কারণেই ভারতের পক্ষে সম্ভব নয় আগের মতো বাংলাদেশের ব্যাপারে যেমন খুশি সিদ্ধান্ত নেয়ার। খোদ দেশটির মোদি সরকারও নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন, বিরোধী রাজনীতিক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের হয়রানি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস ইত্যাদি নানা ইস্যুতে মোদি সরকার ঘরে-বাইরে চাপে রয়েছে। ফলে মোদি কোন মুখে বাইডেনের কাছে বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পক্ষে ওকালতি করবেন! তা ছাড়া সদ্যসমাপ্ত জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে ভারত সফর শেষে বাইডেন ভিয়েতনামে পৌঁছেই সংবাদ সম্মেলনে ভারতের গণমাধ্যম, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা ইস্যুতে মোদির সমালোচনা করেন। ওয়াশিংটন থেকে অভিযোগ করা হয়, মোদি-বাইডেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বাইডেনকে ভারতে সংবাদ সম্মেলন করতে দেয়া হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের মাটিতে বসে বাইডেন এসব সমালোচনা করলে বিরোধী রাজনীতিকরা আরও উজ্জীবিত হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই বাইডেনকে একক সংবাদ সম্মেলন করার সুযোগ দেয়নি মোদি সরকার।
যাই হোক, ভারতের বৃহৎ সংবাদ সংস্থা পিটিআই ‘লাইফ সাপোর্টে বাংলাদেশের গণতন্ত্র’ শীর্ষক তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এখন অনেকটাই রাশিয়ার মতো; একদল অলিগার্ক প্রচুর আর্থিক সুবিধা ভোগ করছে এবং বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই সম্ভবত বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে এবং বৃহত্তর জবাবদিহিতার পথ সুগম করবে’ (১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৩, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া)। কিন্তু আমাদের ক্ষমতাসীন দল একটি প্রকৃত সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। তারা ক্ষমতায় থাকতে এতটাই মরিয়া যে- যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশে একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়টি এখন আর শুধু দেশীয় গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। এর সঙ্গে এখন বৃহদাকারে মার্কিন ফরেন পলিসি ও মিয়ানমারকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার নয়া ভূরাজনীতি জড়িয়ে পড়েছে।
কয়েকদিন আগে ঢাকা-লন্ডন ৫ম কৌশলগত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সংলাপে বৃটেনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন। সংলাপে বৃটেনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে এবং প্রয়োজনে বৃটেন এক্ষেত্রে সহায়তা দিতেও প্রস্তুত আছে বলে জানায়। এ ছাড়া, বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার স্বার্থে এবং এদেশে তাদের বিনিয়োগের গ্যারান্টিস্বরূপ তারা একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায়। অন্যথায়, বিদ্যমান বিনিয়োগ হ্রাসকরণসহ দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছে। সংলাপ শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে আমরা সক্ষম।’ গত বুধবার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’ সঙ্গত কারণে প্রশ্ন ওঠে, নির্বাচন কমিশন যদি সত্যিই স্বাধীন ও সক্ষম হয়ে থাকে, তাহলে ইসি’র কেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির দরকার পড়লো?
সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনায় রাজনৈতিক মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের আবারো জেলে ঢুকিয়ে তাদের মাঠশূন্য করার পাঁয়তারা দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার’র সম্পাদক আদিলুর রহমান শুভ্র ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এতে মার্কিন দূতাবাস উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, ‘এই রায় মানবাধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সদিচ্ছাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।’ মানবাধিকারকর্মী ও বিরোধীদের কোণঠাসা করে জাতীয় নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে না তা বলাই বাহুল্য। গত বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে এক সম্মিলিত প্রস্তাবে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক
Email: [email protected].