Defence Research Forum- DefRes | March 4, 2020
ডেফ্রেসে বহু আগেই বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রধান উপায় গুলি নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট করা হয়।সেখানে আমরা বলেছি যে মূলত আমদানি এবং রপ্তানি মিসইনভয়েসিং করেই অর্থ পাচার করা হয়। সেখানে আমরা উদাহরন সহ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছি যে টাকা পাচার এমন না যে ব্রিফকেসে ভরে বিমানে করে বিদেশে নিয়ে যায় বরং আমদানি মূল্য বেশি দেখিয়ে এবং রপ্তানি মূল্য কম দেখিয়ে এটি করা হয়।
যাইহোক, বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যার্থ হবে বিধায় কিছু পাবলিক তখন আমাদের গালাগালি করেছেন। দালাল বলেছেন। গতকাল এটা নিয়ে দেশের প্রায় সব পত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে। বছরে ৬৪০০০ কোটি টাকা এভাবে আমদানি রপ্তানির আড়ালে পাচার হয়ে থাকে। আর এমন পাচারের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বে ৩৩ তম অবস্থানে রয়েছি এবং দক্ষিন এশিয়াতে ৩য়।
দক্ষিন এশিয়ায় সব থেকে বেশি পাচার হয় ভারত থেকে প্রায় $৭৭.৯৮ বিলিয়ন ডলার। ২য় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তাদের দেশ থেকে পাচার হয় $৭.৭০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে গড়ে $৭.৫৩ বিলিয়ন ডলার। দুটি পদ্মা সেতুর করার মত অর্থ পাচার হয়েছে। আমাদের আমদানি রপ্তানির প্রায় ১৮% অর্থ এভাবে পাচার হয়।
চীন থেকে পাচার হয়েছে $৩২৪ বিলিয়ন ডলার।