বাংলাদেশ থেকে এখনো ফ্যাসিবাদ যায়নি: মাহমুদুর রহমান

বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ এখনো যায়নি। কেবল ফ্যাসিবাদের একজন নেতা ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনের সাড়ে তিন মাস হয়েছে। অথচ গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্বাচনে ফ্যাসিবাদ সমর্থিত প্যানেল পূর্ণ জয়লাভ করেছে। কিন্তু সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপারটি অবজ্ঞা করছে।

তিনি বলেন, অনেকে আমাকে যুক্তি দিয়েছেন, তারা গত ১৬ বছরে ছাত্রলীগের পাণ্ডাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ দিয়েছে। তাই তারা জিতেছে। আমার প্রশ্ন হলো, যদি আপনারা সত্যিই শুদ্ধি অভিযান চালাতে না পারেন, তাহলে নির্বাচন দিলেন কেন?

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা ছাড়া লুটপাট হয়নি। আতিউর রহমানের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে। অথচ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব শক্তিশালী। এখানে জনগণকে ঠিক করতে হলে আর্থিক খাতে সংস্কার করতে হবে।

অর্থ উপদেষ্টা সালাউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ও অর্থনীতি সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রণয়ন জাতীয় কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য কী প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাও জানতে চেয়েছেন মাহমুদুর রহমান।

শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের নানা ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আইকন ছিলেন শেখ মুজিব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তার নির্দেশে হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রথম কারচুপির নির্বাচন, রক্ষীবাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস তৈরি, একদলীয় শাসন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ সব শেখ মুজিবের শাসনামলে হয়েছে।

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারবে একমাত্র তার আইকন ঠিক থাকলে। ফলে ভারতপন্থিরা এখন বলছে, শেখ হাসিনা খারাপ কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান মহান নেতা ছিলেন। ইতিহাস বর্ণনার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের আইকনকে ছুড়ে ফেলতে হবে।

‘স্বৈরাচার থেকে ফ্যাসিবাদ, শেখ মুজিব থেকে হাসিনা, ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার হুমকি ও বিপ্লব রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি আয়োজন করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি।

এতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ মো. আতিয়ার রহমান, জবান পত্রিকার সম্পাদক রেজাউল করিম রনি প্রমুখ।

উৎসঃ   বাংলানিউজ