দিনটা যে এভাবে শেষ হবে, সেটি নিশ্চয়ই ভাবেনি নিউজিল্যান্ড দল।
বাংলাদেশের চেয়ে ১৩০ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর মোটামুটি ভালোই এগোচ্ছিল কিউইরা। দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট পড়লেও উইলি ইয়াং আর রস টেলর যখন ঘাটতি মিটিয়ে সবে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন, ঠিক তখনই ইবাদত হোসেনের আঘাত। দুই ওভারে ৭ বলের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেট নেই। ফিরে গেলেন ইয়াং, হেনরি নিকোলস আর টম ব্লান্ডেল।
ইবাদত–ঝড়ে মুহূর্তেই এলেমেলো নিউজিল্যান্ডের সাজানো বাগান। দিন শেষে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে এই জায়গা থেকে বাংলাদেশকে জয়বঞ্চিত করাই কঠিন ব্যাপার তাদের জন্য।
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং কোচ লুক রনকি মানছেন, বড় ক্ষতিই হয়ে গেছে তাঁর দলের, ‘প্রথম সেশনটা ভালোই ছিল। আমরা বাংলাদেশের উইকেট ফেলে দিয়ে ব্যাটিংয়ে ফিরেছিলাম। উইল ইয়াং ও রস টেলর ভালো একটা জুটি গড়েছিল, যেটি আমাদের ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছিল। ঠিক এই সময় খুব বাজে সময় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে ফেললাম। সুতরাং আমার মনে হয়, এই টেস্টের বেশির ভাগ সময়ই বাংলাদেশ আমাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে।’
কাল মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের শেষ দিন বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংটা কেমন হবে? রনকি মনে করেন, অন্য কিছু নয়, ‘ব্যাটিংটা করে যেতে হবে। আমাদের ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। কেবল দিন কাটাতে মাঠে নামলে হবে না।’
বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রশংসাও ঝরেছে রনকির কণ্ঠে, ‘বাংলাদেশ আমাদের চাপে ফেলেছে। তারা দুর্দান্ত বোলিং করে আমাদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে।’