#বাংলাদেশে_চীনের_প্রভাব_আর_তাতে_জাপানের_ভুমিকা
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের উপর চীন,ভারত,যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সহ বেশ কিছু দেশের নজর পড়েছে।এরই মধ্যে চীনের অন্তত ডজনখানেক নতুন বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।যাকে বেশ ভাল নজরে দেখছে না ভারত।আবার ভারত সে সকল বিনিয়োগ অর্থনীতি কিংবা রাজনৈতিক ভাবে কাউন্টার করতে পারলেও জাপান তাদের দেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে।
জাপান ইতিমধ্যে তার দেশের ব্যবসায়ীদের চীন থেকে জাপানী বিনিয়োগ বাংলাদেশে সরাবার পরামর্শ দিচ্ছে।জাপানের ভাষায়,এ বিনিয়োগ বাংলাদেশে চীনের প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে।স্বাধীনতার পর থেকেই অবশ্য বন্ধুপ্রতীম জাপান এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাইকা বাংলাদেশে স্বল্প সুদে বিনিয়োগ করে আসছে।কিছু ক্ষেত্রে জাপানী বিনিয়োগ এতই অল্প সুদের যে কয়েক বছর অন্তর জাপান সে সুদ মউকূফ এবং তা অনুদান ও বাংলাদেশের জনগনকে উপহার হিসেবেও প্রদান করে জাইকা এবং জাপান সরকার।
জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক বেশ মজবুত হলেও,রোহিঙ্গা ইস্যুতে বার্মা নিয়ে বেশ কিছু মনোমালিন্য সত্বেও জাপান বাংলাদেশের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।যার ফলাফল চীনা বিনিয়োগ এবং মিলিটারি প্রেজেন্স এর কাউন্টার হিসেবে জাপানী বিনিয়োগ স্থাপন করা।
জাপান অবশ্য বাংলাদেশের মিলিটারি শিল্পে তেমন বৃহৎ কোন অংশীদারিত্ব বহন করেনা।অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র-জাপান সামরিক চুক্তির ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান অনেক সামরিক বিনিয়োগ এবং শিল্পেও পিছিয়ে ছিল।যা সাম্প্রতিক সময়ে জাপান কাটাবার চেষ্টা চালাচ্ছে।দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের তোড়জোড় অবশ্য জাপানকে এতটা চিন্তিত না করলেও,দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের উঠতি শক্তিতে চ্যালেঞ্জ করতে চায় জাপান।
সামরিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে চীনের মিলিটারি হার্ডওয়ারের মোকাবেলা করা জাপানের জন্য দুরুহ হলেও এখনো তা অসম্ভব না। জাপানের সদিচ্ছা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে।এবং তা বাংলাদেশকে জাপানমুখী না করলেও ইউরোপমুখী করতে উৎসাহিত করবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে: