বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার, হয়রানি এখনই বন্ধের আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেই সঙ্গে রাজপথে সহিংসতা (মানুষ হত্যা, বাসে আগুনসহ যে কোনরকম সহিংসতা) বন্ধের তাগিদ দিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থাটি। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দোজারিক বুধবার নিউইয়র্কস্থ সদর দপ্তরে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান। মুখপাত্র বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীকে বেআইনি গ্রেপ্তার, হয়রানি এবং রাজপথে সহিংসতা আর দেখতে চায় না জাতিসংঘ।
ব্রিফিংয়ে বিরোধীদলের ওপর সরকারের নিপীড়ন নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উদ্বেগ এবং সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সরকারের ওপর চাপ তৈরির আহবান বিষয়ক বিবৃতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশের চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে বিরোধীকর্মীদের খুন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী তার প্রশ্নে বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।
তারা বলছে, বাংলাদেশে বিরোধীদের টার্গেট করে হয়রানি এবং কারাগারে রেখে নির্বাচনকে সুষ্ঠু হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না। এই ক’দিনে বিরোধীদলের ৩ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আনসারী জানতে চান জাতিসংঘ মহাসচিব কী সদস্য এই দেশটির চলমান পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন?
জবাবে দোজারিক বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিস্কার, দেশটিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা প্রয়োজন। এ নিয়ে আমরা খুব দৃঢ়ভাবে কথা বলেছি। নির্বাচনের সময়টাতে হয়রানি, বেআইনি গ্রেপ্তার এবং সহিসংতা আমরা আর দেখতে চাই না, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এসব বিষয়েও কথা বলেছি।