বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসনের শেকড় দিল্লিতে

আলফাজ আনাম

বাংলাদেশের দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রাণ ভোমরা ছিলেন দিল্লির শাসকরা। শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে গিয়ে সেই দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন। এই দেড় দশকের শাসনে বাংলাদেশকে তিনি কার্যত পরাধীন দেশে পরিণত করেছিলেন। বাংলাদেশের সব স্ট্র্যাটেজিক সম্পদগুলো বিনাবাক্যে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। বিনিময়ে দিল্লির কাছ থেকে নিয়েছিলেন ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি। তিনি পুরোপুরিভাবে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের কোলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে দিল্লি শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার ক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারেনি। ছাত্র জনতার কাছে শেখ হাসিনার সাথে দিল্লিও পরাজিত হয়েছে।

বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের যোগসাজসে ২০০৮ সালে একটি বির্তকিত নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার ক্ষমতা গ্রহণের পর ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শংকর রায় চৌধুরী ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বাংলাদেশকে আর কখনো দিল্লির রাডারের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। এরপর বাংলাদেশকে একটি ঔপনিবেশে পরিণত করতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারত।

প্রথম আঘাত আসে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ওপর। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর দেড় মাসের মাথায় ২০০৯ সালের ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এই বিদ্রোহে প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা অফিসার। ধ্বংস হয়ে যায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।  বিডিআর বিদ্রোহে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে।

এই বিদ্রোহ দমনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে হুমকি প্রদান করে ভারত। এমনকি শেখ হাসিনাকে রক্ষায় বাংলাদেশে একটি অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক রিডার অভিনাষ পালিওয়াল তার বই ‘ইন্ডিয়া’স নিয়ার ইস্ট: অ্যা নিউ হিস্টোরি’ বইয়ে এই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।

ভারতের হুমকির মুখে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ সেনা অফিসারদের উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। ফলে বিদ্রোহে বিডিআরের ডিজিসহ মেধাবী অফিসাররা নিহত হন। এরপর থেকে বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তারে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরবতীতে এই বিদ্রোহ নিয়ে সেনা কর্মকর্তাদের সাথে শেখ হাসিনা এক বৈঠক করেন। এই বৈঠকে বিদ্রোহ দমনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে যেসব সেনা অফিসার প্রশ্ন তোলেন তাদের সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হয়। হত্যা ও চাকরিচ্যুতির মাধ্যমে সেনাবাহিনী থেকে  চৌকস ও জাতীয়তাবাদী চেতনাসম্পন্ন অফিসার মুক্ত করা হয়।

বিডিআর বিদ্রোহে সেনা অফিসারদের হত্যার পর থেকে শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস বহুগুণ বেড়ে যায়। একই সাথে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভারতের ভূমিকা আরো বাড়তে থাকে। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে শেখ হাসিনা ভারত সফরে যান। এই সফরে ভারতের সাথে ফেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করা হয়। এরপর বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিনা শুল্কে ট্রানজিট ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত স্বার্থ পূরণে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এরপর গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ভারতের স্বার্থে একের পর এক চুক্তি করে গেছেন।

বিডিআর বিদ্রোহের এক বছরের মাথায় ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত সফরে যান শেখ হাসিনা। এ সময় যে ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি করা হয়, তার আলোকে ভারত ট্রানজিটের নামে বাংলাদেশের সড়ক, বন্দর ও রেল ব্যবহার শুরু করে।  জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে একের পর এক চুক্তি হতে থাকে।  এমনকি বাংলাদেশের নদী ভরাট করে ভারতের বিদ্যুত সামগ্রী বহনের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয়। বিনা শুল্কে ভারত এসব পণ্য পরিবহন করতে থাকে। এ সময় ভারত তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এ ধরনের চুক্তি করতে পারেননি।

ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী এসব চুক্তির বিনিময়ে শেখ হাসিনার একমাত্র চাওয়া ছিলো তিনি যাতে দিল্লির সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারেন। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি কার্যত ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একইভাবে ভারত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পরিকল্পনা সাজাতে থাকে।
রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার যে ভারসাম্য থাকে তা ধ্বংস করে বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে এক দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়। শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে সেনাবাহিনী ও বিডিআর ধ্বংসের পর ভারতের পরবর্তী টার্গেট হয় জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থী নেতাদের হত্যা করে তার দীর্ঘমেয়াদি শাসন নিশ্চিত করা।

ভারতের পরিকল্পনা অনুসারে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের বয়ান তৈরি করেন। এজন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে তথাকথিত এক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত স্থাপন করা হয়। যার লক্ষ্য হয়ে উঠে জাতীয়বাদী ও ইসলামপন্থী নেতাদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে হত্যা করা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষের শক্তির নামে জাতিকে চূড়ান্তভাবে বিভাজন করা হয়। শেখ হাসিনা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংস করে ক্ষমতায় থাকার কৌশল গ্রহণ করেন।

প্রভাবশালী বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান ও কারাগারে রেখে এক দলীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে ৩০০ আসনের সংসদে  ১৫৪ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে বিরোধী দলকে বাইরে রেখে কিভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা হবে তার নীল নকশা প্রণয়ন করা হয় দিল্লিতে।

২০১৪ সালে জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি সাজানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করে। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকায় এসে নির্বাচন অংশ নিতে তাকে চাপ দেন। প্রকাশ্যে তিনি এরশাদের বাসায় গিয়ে বৈঠক করেন। নির্বাচনে অংশ নিতে ভারতের চাপ দেওয়ার তথ্য এরশাদ নিজে সাংবাদিকদের জানান। এরপর এরশাদকে ধরে নিয়ে জোর করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এভাবে ভারত প্রকাশ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ শুরু করে। কোনো প্রকার নির্বাচন ছাড়া শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারত প্রকাশ্যে বাংলাদেশে ভূমিকা রাখতে থাকে।

প্রতিটি নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। এসব সফরের সময় ভারতের সাথে জ্বালানি, অবকাঠামো ও প্রতিরক্ষা খাতে নানা ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসব চুক্তির ব্যাপারে বিরোধী দলবিহীন পার্লামেন্ট পর্যন্ত আলোচনা করা হয়নি। তিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আদানির কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা, চট্রগ্রাম ও মংলা বন্দর পরিচালনায় ভারতকে সম্পৃক্ত করা, ভারত থেকে বেশি দাম ট্রেনের বগি কেনা- এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক টেন্ডার পর্যন্ত দেননি। এমনকি চীনের কাছ থেকে বেশি সুদে লোন নিয়ে ভারতের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কার করেছেন।

পতনের আগে শেখ হাসিনা সর্বশেষ ভারত সফর করেন ২১ ও ২২ জুন। এই সফরে তিনি বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্প ভারতের হাতে ছেড়ে দেন। অথচ ভারতের সাথে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি না হওয়ার কারণে এ অঞ্চলে পানি সমস্যা সমাধানে চীন এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী ছিলো। শেখ হাসিনা নিজে পার্লামেন্টে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, চীন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। চীনের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে এই প্রকল্পটি ভারত বাস্তবায়ন করবে বলে ঘোষণা দেন। যাতে ক্ষুদ্ধ হয় চীন। এছাড়া ভারত সফরে গিয়ে ভারত থেকে নানা ধরনের প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার চুক্তি করেন।

শেখ হাসিনা তার দেড় দশকের শাসনে শুধু ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেননি, তিনি মোদির কর্তৃত্ববাদী শাসনের একজন সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন। ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের সাথে ভারতের কংগ্রেসের ছিলো সুসর্ম্পক। কিন্তু ক্ষমতার নেশায় মোদির পররাষ্ট্রনীতির সাফল্যর আইকনে পরিণত হন শেখ হাসিনা। এমনকি মোদির সফরের প্রতিবাদে বাংলাদেশে বিক্ষোভ হলে তিনি গুলি চালিয়ে অন্তত ১০ জন লোককে হত্যা করেন। মোদির পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতায় দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশ থেকে ভারতপন্থী দলগুলোর যখন পরাজয় ঘটে তখন মোদির সহযোগি হিসেবে একমাত্র টিকে ছিলেন শেখ হাসিনা।

মোদির সাথে শেখ হাসিনার এই গাঁটছাড়া শুধু বাংলাদেশ নয়; ভারতের মানুষকে ক্ষুদ্ধ করে তোলে। মোদির অলিগার্ক শ্রেণির সাথে শেখ হাসিনা বিশেষ সর্ম্পক গড়ে তোলেন। আদানির কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনার মাধ্যমে মূলত তিনি পরোক্ষভাবে বিজেপির রাজনীতিতে অর্থ ঢালার ব্যবস্থা করেন।

শেখ হাসিনা উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সহযোগী হয়ে উঠায় ভারতের উদারনৈতিক, ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন হারিয়েছিলেন। বাকি বিশ্বের মতো ভারতের মানুষও তাকে একজন নিকৃষ্ট স্বৈরশাসক হিসেবে দেখে থাকে।

বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এসেছিলো। কলকাতার রাস্তায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল সমাবেশ হয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কলকাতার ছাত্রদের সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে। কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রতি যে সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি এ দেশের মানুষের শ্রদ্ধাবোধ বেড়েছে। আগামী দিনে দুদেশের মানুষের মধ্যে সর্ম্পক বাড়াতে মমতা বন্দোপাধ্যায় ও কলকাতার ছাত্রদের ভূমিকা মানুষ স্মরণে রাখবে।

শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থরক্ষা করেও ভারতের মানুষের সমর্থন হারিয়েছেন।  তিনি মূলত ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির চালের গুটিতে পরিণত হয়েছেন। যতদিন তিনি ভারতে থাকবেন, ততদিন তিনি হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবেন। ইতোমধ্যে তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতের গণমাধ্যমে একের পর এক সাক্ষাৎকার দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থা সিরিয়ার মতো বলে বর্ণনা করছেন। তিনি বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের নানা কল্পকাহিনী প্রচার করে বিজেপির রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্য পূরণ করে চলছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় এখন ভারতের গদি মিডিয়ার এক পোস্টার বয়ে পরিণত হয়েছেন।

এখন সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করছেন, তার মা পদত্যাগ করেননি। আদালত নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারে- এমন শঙ্কায় ছাত্র জনতা আদালত ঘেরাও করে। স্বৈরশাসকের নিয়োগ করা বিচারকরা পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এর আগে জয় বলেছিলেন, তার মা পদত্যাগ করে ভারতে এসেছেন এবং রাজনীতিতে আর ফিরবেন না। তিনি একেক সময় একেক রকম অবস্থান নিচ্ছেন। বোঝা যায়, তিনি ভারতীয় পরামর্শকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কথা বলছেন। ভারত একটি প্রবাসী সরকার গঠন করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বৈরশাসকের পেছনে ভারতের সমর্থনের বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতকে নানাভাবে হস্তক্ষেপ করতে শেখ হাসিনা ও তার পুত্র যে নানাভাবে চেষ্টা করে যাবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথাও বলেছেন, বাংলার মানুষ তার মাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। সত্যিই বাংলাদেশের মানুষ একজন নিকৃষ্ট স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন। ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও নীতি নির্ধারকরা এই বিষয়টি যত দ্রত উপলদ্ধি করবেন তত মঙ্গল।

jugantar