বাংলাদেশের সমুদ্র শিক্ষাব্যবস্থার সংকট

গোলাম সোহরাওয়ার্দি
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১০: ৪৯

গোলাম সোহরাওয়ার্দি

‘শিক্ষা হলো সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র, যেটা দিয়ে পৃথিবী বদলানো যায়’-নেলসন ম্যান্ডেলা

একটা দেশের ইতিহাসে কিছু কিছু সময় আসে, যখন দেশের প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হতে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বড় বড় লক্ষ্য নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল। এখন তারা পথ হারিয়েছে। সমুদ্র শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এ সমস্যায় পড়েছে।

বহু বছর ধরে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি (বিএমএ) এবং মেরিন ফিশারিজ একাডেমি (এমএফএ) প্রবৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের একটা সুস্পষ্ট ভূমিকা ছিল। বিএমএ বৈশ্বিক জাহাজ পরিবহন শিল্পের জন্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিত। এমএফএ মৎস্য খাতের জন্য কর্মী তৈরি করত। এই খাতগুলো খাবার, কর্মসংস্থান এবং সাগরের সম্পদের সতর্ক ব্যবহারের জন্য সাহায্য করত। উভয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র জগতে শক্তিশালী করে তুলেছিল।

কিন্তু খারাপ নীতি, শ্লথ সরকারি কাজ এবং একই কাঠামোর একাধিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় তাদের ভূমিকা হযবরল হয়ে গেছে। মৎস্য চাহিদার কথা মাথায় রেখে এমএফএ যাত্রা শুরু করেছিল। এখন তারা বিএমএর দুর্বল প্রতিকৃতি হিসেবে কাজ করছে। এতে অর্থের অপচয় হচ্ছে। তারা নিজেদের মূল কাজটা অগ্রাহ্য করছে। মৎস্য খাতের এতে ক্ষতি হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারও ঘাটতি রয়েছে।

দুটোকে মিশিয়ে ফেলার কারণে বাংলাদেশের সমুদ্র শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, এবং গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা এই নিবন্ধে খতিয়ে দেখা হয়েছে। এখানে যুক্তি দেখানো হয়েছে, কেন এমএফএকে অবশ্যই মৎস্যসম্পদের দিকে মনোযোগ ফিরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের নীল অর্থনীতির স্বপ্ন ধ্বংস হবে। অথচ অন্য দেশগুলো সাগরকে প্রবৃদ্ধি, সবুজ জীবনযাপন এবং শক্তির উৎস হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।

ঐতিহাসিক পটভূমি

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে। এখানে বড় জাহাজগুলোর জন্য ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই জাহাজগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশকে সেবা দেয়। ১৯৭৩ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় মেরিন ফিশারিজ একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। এটি পরিচালিত হয় বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের অধীনে। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য পরিষ্কার। তারা মৎস্যসম্পদ আহরণের জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে নিরাপদে মৎস্যসম্পদ আহরণ করা যায়। তা ছাড়া এর মাধ্যমে রপ্তানি থেকে আয়ের সুযোগও রয়েছে।

এই দুই প্রতিষ্ঠানের একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার দরকার ছিল না। একটি প্রতিষ্ঠান জাহাজ পরিবহনে সাহায্য করে। অন্যটি কাজ করে মৎস্যসম্পদ নিয়ে। একটা টিম হিসেবে দুটো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সাগর সম্পদের ভবিষ্যৎ তৈরি করার কথা।

লক্ষ্যচ্যুত মেরিন ফিশারিজ একাডেমি

এখানে অনেকটা দায় হলো এমএফএর। এই প্রতিষ্ঠান একসময় মৎস্যসম্পদের শক্তির প্রতীক ছিল। এখন তারা এমন সব ক্যাডেটকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যারা মৎস্যসম্পদ আহরণের কাজে জড়াবে না। তারা বরং বাণিজ্যিক জাহাজে যোগ দিচ্ছে। এমএফএ ক্যাডেটদের ৯০ শতাংশই জাহাজ পরিবহনকে বেছে নিচ্ছে। অথচ বিএমএ এ কাজের জন্য আগে থেকেই ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ফলে মৎস্য আহরণ খাতে দক্ষ কর্মকর্তা খুব বেশি থাকছেন না।

এই পরিবর্তনটিকে ছোটখাটো ভুল হিসেবে দেখলে চলবে না। দেশের চাহিদাকে এখানে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। মৎস্যসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সরকারি অর্থে জাহাজ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনবলের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এমএফএ মৎস্যকর্মী তৈরি করছে না। তা না করে বিএমএকে দুর্বলভাবে অনুসরণ করছে তারা।

এমএফএ গ্র্যাজুয়েটরা কোথায় যাচ্ছেন?

কিছু তথ্য আমাদের চমকে দেয়। গত বছর এমএফএ থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করেছে ১১০ জন ক্যাডেট। এর মধ্যে ৮০ জন বাণিজ্যিক জাহাজ পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৩০ জন। মৎস্য আহরণ বোটে কেউ কাজ করছেন না।

বাংলাদেশের ২৬৯টি ফিশিং বোট রয়েছে। এর মধ্যে ১৮৫টি স্টিল বোট এবং ৮৪টি কাঠের নৌকা। এগুলোর অর্ধেক সক্রিয় এবং অর্ধেক বিরতিতে থাকলেও এগুলো ভালোভাবে পরিচালনার জন্য ৫৩৮ জন কর্মকর্তা দরকার। কিন্তু সেখানে সার্টিফায়েড কর্মকর্তা আছেন মাত্র ১১২ জন। অর্থাৎ কর্মকর্তার ঘাটতি আছে ৪২৬ জন।

বিএমএ জাহাজ পরিবহনের জন্য ক্যাডেটদের এখনো তৈরি করে যাচ্ছে। বিশ্বের এ ধরনের ক্যাডেট এমনিতেই অনেক রয়েছে। ২০২৪-এর ডিসেম্বরে বিএমএ থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছে ২৩০ ক্যাডেট। সেখানকার ৬ শতাধিক গ্র্যাজুয়েট কাজ ছাড়া বসে আছে। এ সমস্যার কারণ হলো অতিরিক্ত সরবরাহ। এমএফএ এ সমস্যা আরো বাড়াচ্ছে। কর্মসংস্থান কমছে, ক্ষোভ বাড়ছে এবং অর্থের অপচয় হচ্ছে।

জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে বেঈমানি

বাংলাদেশের সাগর একাডেমিগুলো রাজনীতি বা অলস কর্মকর্তাদের জায়গা নয়। এগুলো প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। বৈশ্বিক জাহাজ পরিবহনের জন্য বিএমএ কর্মকর্তা তৈরি করছে। এমএফএর কাজ হলো মৎস্যসম্পদ আহরণের জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি করা। মৎস্যসম্পদ জিডিপি বাড়াচ্ছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতিবছর রপ্তানি থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি রোজগার করছে তারা। এই প্রক্রিয়ায় ১২ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

একাডেমিগুলোর উচিত এমনভাবে সাগরে বাংলাদেশের ভূমিকায় সাহায্য করা, যাতে একটি আরেকটির জায়গা না নিয়ে নেয়। কিন্তু এমএফএর যে পরিবর্তন, সেটি তাদের নিজেদেরই ক্ষতি করছে। বঙ্গোপসাগরে যে ২৬৯টি বড় ট্রলার বা ছোট বোট রয়েছে, সেগুলোর জন্য তারা কোনো কর্মকর্তা তৈরি করছে না। বরং তারা বিএমএকে দুর্বলভাবে অনুকরণ করছে। মৎস্যসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থ দিয়ে যাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তারা জাহাজ পরিবহনে চলে যাচ্ছেন।

এর ফল হচ্ছে খারাপ। বাংলাদেশের ৪ শতাধিক ফিশারিজ কর্মকর্তার ঘাটতি রয়েছে। এতে বহরের গতি, নিরাপত্তা ও শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা না থাকায় অবৈধ মৎস্য আহরণ বাড়ছে। বিদেশি বোটগুলো বঙ্গোপসাগরে চুরি করছে। বাংলাদেশ তাদের থামাতে পারছে না। এফএও জানিয়েছে, প্রতিবছর এখানে এক বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে। অর্থও যাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণও চলে যাচ্ছে।

এই দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের সাগর অধিকারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১২ সালে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশ বড় অঞ্চলের কর্তৃত্ব পেয়েছিল। ইউএনসিএলওএসের নিয়ম মেনেই সেটি হয়েছিল। ইইজেড গড়ে উঠেছে ১১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে। সেখানে রয়েছে মৎস্যসম্পদ, তেল এবং আরো অনেক কিছু। প্রশিক্ষিত কর্মী ছাড়া বাংলাদেশ এগুলো ব্যবহারও করতে পারবে না, এগুলো রক্ষাও করতে পারবে না।

আন্তর্জাতিক শিক্ষা : অন্যরা যেটি ঠিকভাবে করছে

স্মার্ট দেশগুলো যা করছে, বাংলাদেশ তার উল্টোটা করছে। সফল দেশগুলো তাদের মৎস্য খাতের শিক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। ফিলিপাইনের রয়েছে ফিলিপাইন মার্চেন্ট মেরিন একাডেমি। ব্যুরো অব ফিশারিজ অ্যান্ড আকুয়াটিক রিসোর্সেসের অধীনে তাদের বিশেষায়িত ফিশারি স্কুলও রয়েছে। তারা দুই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে আলাদা রেখেছে। দুইয়ের সমন্বয়ে তারা অন্যতম বাণিজ্যিক নৌবাহিনী গড়ে তুলেছে। আবার এর মাধ্যমে তারা বিশাল টুনাশিল্প দাঁড় করিয়েছে।

গ্রিন ফিশিং খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে নরওয়ে। মেরিন জগৎ, জাহাজ চালনা এবং সম্পদের যত্ন নিয়ে তাদের একাডেমি আছে, গবেষণা কেন্দ্র আছে। এই দুইয়ের মাধ্যমে সি-ফুড রপ্তানিতে নরওয়ে এখন রাজত্ব করছে। একই সঙ্গে তারা সবুজায়ন ঠিক রেখেছে।

বাংলাদেশ কেন ভেসে থাকতে পারছে না

এমএফএ যদি শিগগিরই তাদের নিজের জায়গায় না ফিরে যায়, তাহলে ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি হতে থাকবে। প্রথম ক্ষতিটা অর্থনৈতিক। মৎস্য খাত থেকে বিদেশি মুদ্রা আসে। প্রবৃদ্ধি না হলে এর আকার ছোটই থাকবে।

খাদ্যঝুঁকিও বাড়ছে। ১৮০ মিলিয়ন মানুষের প্রাণিজ আমিষের ৬০ শতাংশ মেটাচ্ছে মাছ। মৎস্য আহরণ খাত দুর্বল হওয়ার মানে খাদ্যে ঘাটতি থাকবে।

কৌশলগত ঝুঁকি বাড়ছে। কর্মকর্তা না থাকার অর্থ হলো ইইজেড অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়া। তখন বিদেশিদের তৎপরতা এখানে বাড়বে। অর্থের অপচয় হচ্ছে। মৎস্য খাতের অর্থে প্রশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েটরা জাহাজ পরিবহন খাতের চাকরি বাজার দখল করছে। বিএমএ পাস গ্র্যাজুয়েটরা এতে কাজ হারাচ্ছে। বাংলাদেশের সামনে এখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সময়। সম্পদ নির্মাণের জন্য যেটার যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেটি নীতি ব্যর্থতায় রূপ নিতে পারে। এমএফএর ব্যর্থতা শুধু প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যায় সীমাবদ্ধ নয়। তারা জাতিকে প্রতারণা করছে। মৎস্য আহরণ ও সাগর শক্তি ঠিক রাখতে এ সমস্যার এখনই সমাধান দরকার।

এমএফএকে কেন ফিশারিজ খাতে ফিরিয়ে নেওয়া দরকার

এমএফএকে অবশ্যই তাদের লক্ষ্যে ফেরাতে হবে। এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। এর কারণগুলো বেশ জোরালোÑ

১. জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করা : ১৮০ মিলিয়নের বেশি বাংলাদেশির জন্য আমিষের প্রধান উৎস হলো মাছ। কর্মকর্তার ঘাটতি থাকলে এই খাতে ঝুঁকি বাড়বে।

২. সাগর সম্পদের টেকসই অনুসন্ধান নিশ্চিত করা : কর্মকর্তা প্রশিক্ষিত হলে তারা অতিরিক্ত মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবে। তারা সাগরের জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করবে।

৩. সাগরে সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা : কর্মী ভালো হলে সাগর অঞ্চল সুরক্ষা করা সহজ হয়।

৪. মৎস্যশিল্পের শ্রমশক্তিকে শক্তিশালী করা : দক্ষতা ছাড়া মৎস্যসম্পদ আহরণ গতি পাবে না। এটি অনিরাপদ ও দুর্বল হয়ে পড়বে। এমএফএকে শুধু মৎস্য খাতে সীমাবদ্ধ রাখা গেলেই বাংলাদেশ তাদের সমুদ্র সম্পদ রক্ষা করতে পারবে। খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পারবে এবং মৎস্য খাতের কর্মসংস্থানগুলো বাঁচাতে পারবে।

মৎস্যসম্পদের ঊর্ধ্বে নীল অর্থনীতির ভিশন

চলতি বছরের ৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নীল অর্থনীতি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এই খাত বাংলাদেশের সাফল্যকে পরিচালিত করে। সমুদ্রসম্পদকে তিনি সবুজ উপায়ে ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন। বন্দর আর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি নৌবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা কঠিন। মাত্র ২ শতাংশ কর্মী সাগর খাতে প্রশিক্ষণ নেয়। ২০২৩ সালের বিএসএমআরএইউ এটি জানিয়েছে। এ সমস্যা মেটাতে যা করা দরকারÑ

* মৎস্যসম্পদের যত্ন, বোট পরিচালনা ও সাগর প্রযুক্তি নিয়ে বিশেষ ক্লাস।

* ক্ষতি কমাতে এবং বিক্রি বাড়াতে কোল্ড স্টোরেজ গড়ে তোলা।

* দক্ষতা বাড়ানো, প্রযুক্তি ও গবেষণার জন্য বৈশ্বিক যোগাযোগ বাড়ানো।

এ সমস্যার সমাধান করা গেলে এমএফএ পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারে। শুধু মৎস্য খাত নয়, বরং পুরো নীল অর্থনীতির বিকাশে তারা ভূমিকা রাখতে পারবে। এতে বাংলাদেশ সবুজায়নে আরো এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বে শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

ভেসে যাওয়া ঠেকান, সঠিক পথে চলুন

বাংলাদেশের সাগর শিক্ষা একটা বিভক্ত পথে এগোচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত প্রবৃদ্ধি, বিভক্ত ভূমিকা এবং স্থবির কর্মকর্তাদের কারণে অপচয় বাড়ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে না এবং অর্থের অপব্যয় হচ্ছে। দেশের এখন সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তাদের অবশ্যই লক্ষ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। খাদ্য সুরক্ষা দিতে হবে। নীল অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী স্কুল গড়ে তুলতে হবে। পরিবর্তন এখনো সম্ভব। সাহস, সুস্পষ্ট পরিকল্পনা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, বিএমএ ও এমএফএর সমস্যা দূর করতে হবে। তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ মানে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে অনিশ্চিত ভেসে থাকা বন্ধ করতে হবে। তাদের এখন পথ দেখাতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here