০৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম
রোহিঙ্গাদের নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহে যেসব তথ্য রয়েছে, সেগুলো পেতে চায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বিষয়ে তথ্য চান করিম খান।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (করিম খান) চাচ্ছেন যে, আমরা যেগুলো তথ্য সংগ্রহ করেছি, রোহিঙ্গাদের নির্যাতন নিয়ে; ওগুলো যদি আমরা তাদের সঙ্গে শেয়ার করি। এগুলো না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। তাকে বলেছি, এগুলো-তো আমরা অতো জানি না। এগুলো ট্রিপল আরসির সঙ্গে আলাপ করে হয়ত আপনারা রিয়েল ইনসাইট পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছেন, যারা জেনোসাইডে সম্পৃক্ত, আমরা তাদের বিচার ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। যারা বলপ্রয়োগ ও নির্যাতন করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনলে পরে হয়ত আগামীতে এগুলো আর হবে না। সেজন্য আমরা তাকে স্বাগত জানাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এই কেসটা যেন দীর্ঘায়িত না হয়, এই কেসটা যত তাড়াতাড়ি শেষ হয়, ততই মানুষের মঙ্গল হবে, রোহিঙ্গাদের মঙ্গল হবে। সো, ইউ শুড পুট অ্যাফার্ট টু ফিনিস দি কেস অ্যাজ ফাস্ট অ্যাজ পসিবল। কারণ, জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড। তো, আমরা এটা উনাকে বলেছি।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির বাংলাদেশ সফরের কারণ তুলে ধরে মোমেন বলেন, তিনি মূলত এসেছেন, লজিস্টিকস সাপোর্ট নেওয়ার জন্য। আমরা বলেছি, আমরা দেখব। আমরা-তো আর সিদ্ধান্ত নিই না। এটা আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে আপনাদের জানাব। আমরা যা দিতে পারি, তা দেব।
পাইলট প্রকল্পের অধীনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন বাধাগ্রস্ত হবে? যে ক্রাইম করবে তাকে তো বিচারের আওতায় আনা হবে। বিচার করবেন বলে ওদের প্রত্যাবাসন করবেন না? এ ধরনের বাজে অজুহাত তোলেন কেন?