বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ভারত সরকারের সঙ্গে, কোনো বিশেষ দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ভারতের নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভারতের জনগণের রায় নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কোনো প্রয়োজন নেই। ভারতের জনগণ, ভোটাররা যাকে ভোট দেবে…সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার একটা নিয়ম আছে সাংবিধানিকভাবে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী সরকার চলতে থাকবে, কে এল, কে গেল, এটা আমাদের বিষয় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ন্যায়বিচার পাওয়া–সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. ইউনূসের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় হবে না।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এ দেশের সহস্র জননীর কান্নার আওয়াজ এখনো শোনা যায়। যারা ঋণ নিয়ে নির্যাতিত হয়েছে, সেটি ভুলে গেলে চলবে কী করে? মামলায় তার (ড. ইউনূস) প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। তার যেটা প্রাপ্য, সুষ্ঠু বিচারই হবে। কোনোভাবেই অপমান করার কোনো দুরভিসন্ধি আমাদের নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র একটা বড় শক্তি। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্ক তারা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ক্ষোভ ও বেদনা থাকার পরও সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না।
উপজেলা নির্বাচনের শেষ পর্বের ভোট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন সংঘাতপূর্ণ হবে—এমন আশঙ্কা করলেও বাস্তবে তেমনটা হয়নি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী; দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
prothom alo