বাংলাদেশের ‘বড় ধাক্কায় বিব্রত’ ওয়াসিম আকরাম

হতাশ পাকিস্তান, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

ধারাবাহিকভাবে বাজে ক্রিকেট খেলছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে, ছিটকে গেছে প্রথম রাউন্ড থেকেই। এরপর ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই!

পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের তাই হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক। পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার শান মাসুদের দলের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ বড় করার সুযোগ পেয়েও করেনি। এমন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার পরও সেই টেস্টে পাকিস্তান হেরেছে ১০ উইকেটে।

এরপর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই টেস্টেও পাকিস্তান জিততে পারেনি, হেরেছে ৬ উইকেটে। এমন সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে দলের হার মানতে পারছেন না আকরাম।

কিংবদন্তি পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম
কিংবদন্তি পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরামআইসিসি

বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই পেসার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘এটা আমাদের ক্রিকেটে বড় ধাক্কা, আমাদের ক্রিকেট নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। যেভাবে তারা ভালো পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ হেরেছে, একজন সাবেক ক্রিকেটার, অধিনায়ক ও ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে আমি বিব্রত। আমি আসলে কিছু বুঝতেই পারিনি।’

ঘরের মাঠে টানা ১০ টেস্টে জয়হীন পাকিস্তান (৬ হার, ৪ ড্র)। একুশ শতকে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ ছাড়া ঘরের মাঠে এত বেশিসংখ্যক ম্যাচে জয়হীন থাকেনি অন্য কোনো দল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের আগে ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের সব কটিতে হেরেছিল পাকিস্তান।

পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের পর বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের পর বাংলাদেশএএফপি

দেশের মাটিতে হার নিয়ে আকরাম বলেছেন, ‘ঘরের মাঠে আমরা ধারাবাহিকভাবে হারছি। এটাই আমাদের ক্রিকেটের মান সম্পর্কে বলে দেয়। তৃণমূলে কোনো পদক্ষেপ নেই বলেই আমাদের ক্রিকেটের মান নিচের দিকে। আমাদের বিকল্প ক্রিকেটার নেই। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। ক্রিকেট জাতি হিসেবে ধৈর্য ধরতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এর কোনো দ্রুত সমাধান নেই।’

এর আগে পাকিস্তান দলকে নিয়ে রমিজ রাজা থেকে শুরু করে বাসিত আলী—সবাই সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ এই হারকে বলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘কালো দিন’।

prothom alo