Prothom Alo
রুহুল কবির স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, কারণ দর্শানোর চিঠির জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় জহুরুল আলমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর উত্তর জেলা বিএনপির সদস্যপদ ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ স্থগিত থাকবে।
দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট জহুরুল আলমের ফেসবুক আইডি থেকে এস এম নুর উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পোস্ট করা গান ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ শেয়ার করা হয়। পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলমের বক্তব্য দেওয়া একটি ছবির সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত’ এমন ক্যাপশন বিশিষ্ট আরও একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়। এ দুটি পোস্ট শেয়ার করার পর দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়।
সীতাকুণ্ড পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ইউছুপ নিজামী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি একটি পোস্টের বিষয়ে জানেন। ওই পোস্টটি দেওয়ার পর ১০ দিন আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁর (জহুরুল) কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশের জবাবও দেন জহুরুল আলম। কিন্তু নোটিশের জবাব দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে যথাযথ মনে হয়নি। ফলে তাঁর পদ স্থগিত করা হয়।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমল কদর প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে তিনি (জহুরুল) দলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু ফেসবুকে পোস্টের কারণে তাঁর যুগ্ম আহ্বায়কের পদ স্থগিত করা হয়েছে। এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কী কারণে এমনটি ঘটেছে, তা তিনি বলতে চাননি।
অভিযুক্ত জহুরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এস এম নুর উদ্দীন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে দুটি পোস্টে তাঁকে (জহুরুল) ট্যাগ করা হয়। বিষয়টি তিনি জানতেন না। এ বিষয়ে দেওয়া নোটিশের জবাবও দিয়েছেন। তবু পদ স্থগিত করেছেন নেতৃত্ব। তিনি দলের আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন। তিনি আশা করছেন, দল সেসব বিষয় বিবেচনায় নেবে। তাই তিনি এ বিষয়ে আপিল করবেন।