ক্যারিয়ারের উড়ন্ত সময়ে এসে বড় ধাক্কা খান এবাদত হোসেন। পথচলায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট। প্রায় দু’বছর ছিলেন মাঠের বাইরে। তবে এবার ফেরার জন্য প্রস্তুত তিনি। শ্রীলঙ্কা সফরেই চোখ তার।
২০২৩ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে এসিএল চোটে পড়েন এবাদত হোসেন। ফলে মিস করেন এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মিস করেন ২০২৪ বিপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও।
এন্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ইনজুরিকে বিবেচনা করা হয় অ্যাথলেটদের ক্যারিয়ার বিনাশী ইনজুরি হিসেবে। যা থেকে সেরে উঠতে প্রচুর সময় প্রয়োজন হয়। এবাদতের ক্ষেত্রেও হয় তাই।
প্রায় দেড় বছর চিকিৎসাধীন থাকার পর বল হাতে প্রত্যাবর্তন ঘটে তার। এরপর ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে কিছু ম্যাচেও খেলেন তিনি। এরপর খেলেন গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল)।
এবার এবাদত ফিরতে চান জাতীয় দলে। এরই মাঝে স্কিল অনুশীলন করেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিলেটে ওয়ানডে ও ৪ দিনের ম্যাচেও খেলেছেন এবাদত। এখন জাতীয় দল থেকে ডাকের অপেক্ষায় এই পেসার।
সোমবার গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এবাদত বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আগে যে ছন্দ ছিলাম সেই ছন্দ ফিরে পাচ্ছি। আমি আমার প্রস্তুতি নিচ্ছি, বাকি সিদ্ধান্ত নির্বাচকদের হাতে। চোটের কারণে দলের বাইরে ছিলাম, কিন্তু লক্ষ্য শ্রীলঙ্কা সিরিজ।’
বাংলাদেশ দলে চলছে এখন পেস বিপ্লব। পেস বোলিং লাইনআপে এখন অনেক পেসার। তাসকিন আহমেদ- মোস্তাফিজুর রহমানদের মতো অভিজ্ঞদের সাথে আছেন তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদরা।
শরিফুল ইসলামরা, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদরাও আছেন দলের সাথেই। এবাদতের চোখে এই প্রতিযোগিতাই ভালো করার অনুপ্রেরণা।
তিনি বলেন, ‘দলে এখন অনেক প্রতিযোগিতা, সেটা আমাদের উন্নতিই করছে।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বোলাররা প্রস্তুত দাবি করে এবাদত বলেন, ‘ওরা যেমন উইকেট দেবে, আমরা সেটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমাদের পেস ইউনিট এখন অনেক শক্তিশালী, স্পিন ইউনিটও প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৭ জুন গলে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ২৫ জুন কলম্বোতে। টেস্টের পর এই সফরে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা আছে টাইগারদের।