স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২১ Daily Inquilab
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিনে রফতানি আয় হয়েছে ৩১৯ কোটি টাকা; যা আগের বছর তথা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি (২৯ দিন) মাসে ছিল ৩৩২ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পণ্য রফতানি থেকে মোট ২ হাজার ৫৮৬ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.৪৫ শতাংশ এবং বর্তমান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৬১ শতাংশ কম।
২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি সময়ে পণ্য রফতানি করে আয় হয়েছিল ২৬২৪ কোটি ডলার।
রফতানিকারকরা জানান, বাংলাদেশের প্রধান রফতানি গন্তব্য আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাকের বাজারে কাক্সিক্ষত গতি আসছে না।
৮ মাসের হিসাবে নিট পোশাক রফতানি গতবছরের একই সময়ের তুলনায় বাড়লেও অন্য পণ্যে রফতানি ক্রমাগত কমছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে নিট পোশাক রফতানি থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ১৩৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে এক হাজার ৮৯ কোটি ডলার ছিল। অর্থাৎ, আট মাসে এই খাতে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.০৬ শতাংশ। এই অংক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৭৮ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯৬৯ কোটি ডলারের উভেন পণ্য রফতানি হয়েছে। যা আগের বছরের আট মাসের তুলনায় সাড়ে ১১ শতাংশ কম। জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে এ খাতে ১০.৮৫ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি ছিল।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মহামারির মধ্যেও যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, পরিস্থিতি তার চেয়ে ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। তবে সুতার অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। সামগ্রিক রফতানি আয়ে সুখবর না এলেও ফেব্রুয়ারি মাস শেষে ৮ মাসে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে। জুট ইয়ার্ন বা পাটের সুতা রফতানিও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। একইভাবে হোম টেক্সটাইল রফতানি খাতে জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে ৩৮ শতাংশ, ওষুধ রফতানিতে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং চামড়ার জুতা রফতানিতে ০.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যদিকে এই সময়ে হিমায়িত মাছ রফতানি আগের বছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারির তুলনায় ১০ শতাংশ, চিংড়ি রফতানি ১৮ শতাংশ, সিরামিক পণ্য ১৩ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৪ শতাংশ কমেছে।