নতুন সঙ্কটের মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট। বোর্ডের শীর্ষ পদে আসছে বদল, মিলেছে বড় পরিবর্তনের আভাস। ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন, পদত্যাগ করছেন ফারুক আহমেদ। শেষ হচ্ছে তার বিসিবি অধ্যায়।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ফারুক আহমেদকে নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। নানা কারণে তার নাম উঠে এসেছে আলোচনায়। যার ফলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনকালীন সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে। সেই প্রস্তাবে নাকি রাজি হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
শুধু তাই নয়, গুঞ্জন রয়েছে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে দায়িত্ব থেকে। তার পরিবর্তে এই দায়িত্ব পেতে পারেন বর্তমান মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।
জানা গেছে, দিন তিনেক আগে দেশে আসেন বুলবুল। এরপর বুধবার রাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাসায় এক বৈঠকে বসেন তিনি। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও।
আরো জানা গেছে, আজ রাতেও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাসভবনে তার সাথে দেখা করেছেন ফারুক। তবে ঠিক কী কথা হয়েছে, তা খোলাসা করেনি কোনো পক্ষ।
সূত্র বলছে, বিসিবির নির্বাচনকে সামনে রেখেই নেয়া হয়েছে এমন পদক্ষেপ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু আলোচনা চলছে নির্বাচনের আগেই বোর্ড ভেঙে অ্যাডহক কমিটি গঠনের।
তবে সবকিছু এতো সহজ নয়। এর জন্যে পরিবর্তন আনতে হবে বিসিবি’র গঠনতন্ত্রে। ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে যেহেতু আইসিসির অবস্থান কঠোর, সরকার চাইলেই বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনতে পারে না।
ফারুক এনএসসি মনোনীত পরিচালক হওয়ায় সে মনোনয়নে এনএসসি হয়তো পরিবর্তন আনতে পারে, কিন্তু তিনি যেহেতু এখন নির্বাচিত সভাপতি; স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তাকে সরানো সম্ভব হবে না।
সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত সঙ্কটে ফেলতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেটকেই। এর আগে, জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে সরকারি হস্তক্ষেপের মাশুল দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল।
এদিকে আগামী শনিবার জরুরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকেছে বিসিবি। ধারণা করা হচ্ছে, এই সভা থেকেই আসতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সত্যিই কী ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করবেন, না কি বিষয়টা শুধুই গুঞ্জন, তা এরপরই বলা যাবে।