today-is-a-good-day

প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের সমাবেশ

|


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসন সব ধরণের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও তা উপেক্ষা করে সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখা।

শুক্রবার জুম্মা নামাজ শেষে নগরীর ডিআইটি এলাকায় রেলওয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান নিয়ে কোন ধরণের স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই এই সমাবেশ করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা।

হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। নায়েবে আমীরসহ অধিকাংশ নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নেন মাস্ক পরিধান না করেই।

সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতের নায়েবে আমীর ও জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়াল দলের নেতাকর্মীদের সাফাই গেয়ে গত হরতাল কর্মসূচিতে সারাদেশে সহিংসতার ঘটনার দায় চাপান সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর।

তার দাবি, হেফাজতের কোন নেতাকর্মী জ্বালাও পোড়াও করেনি। পুলিশ প্রশাসনের উস্কানিতে আওয়ামী লীগের লোকজন এই সহিংসতা সৃষ্টি করে হেফাজতকে দুষছে। তবে এ ঘটনায় হেফাজতের কোন নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হলে হেফাজতে ইসলাম কঠোর অবস্থানে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

পাশাপাশি হাটহাজারিতে হেফাজতের হতাহত নেতাকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের কাছে দাবি করেন তিনি।

হেফাজতের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে কারণে মসজিদের সামনে সমাবেশ স্থল ও আশপাশ এলাকা ঘিরে রাখে র‍্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। তাদের কঠোর তৎপরতা ও নজরদারির মধ্যে হেফাজতের ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ শেষ হয়।

এর আগে জেলার করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের লিখিত নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের পার্ক, পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, গান বাজনার আসর এবং সভা সমাবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে হেফাজত তাদের সমাবেশ করলেও প্রশাসন তাদের কোন ধরণের বাধা প্রদান করেনি।