ঢাকা
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে আনার ক্ষেত্রে ডলারের বিনিময়মূল্য আরও ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ঠিক করা হয়েছে ১০৭ টাকা। নতুন এ দাম ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে। বর্তমানে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা।
ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা হয়।
প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম কমানো হলেও রপ্তানি আয় নগদায়নে প্রতি ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে নতুন এ দর কার্যকর হবে। এবিবি ও বাফেদার সভা শেষে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে। আর রপ্তানি বিল নগদায়নে ৫০ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এবিবির পক্ষে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন, বাফেদার পক্ষে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিমসহ দুই সংগঠনের কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ, সংস্থাটি একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়ার পরও ডলারের সংকট কাটাতে পারেনি, বরং ডলারের বাজারে জটিলতা তৈরি হয়। এ কারণে নিজেদের অবস্থান বদল করে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়, প্রবাসী ও রপ্তানি আয়, আমদানি বিল নিষ্পত্তিসহ প্রতিটি লেনদেনে ডলারের দাম হবে ভিন্ন ভিন্ন। সব ব্যাংককে এ দামেই ডলার কেনাবেচা করতে হবে। আর ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ মুনাফা করা যাবে এক টাকা। ওই নির্দেশনার ভিত্তিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এবিবি ও বাফেদা ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সভায় বসে আবারও ডলারের দাম পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে।