‘প্রধানমন্ত্রী আগাম দুর্ভিক্ষের কথা বললে মজুদদারদের সুবিধা হয়’

 


প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের কথা বললে জনগণ ভয় পায়, তবে মজুদদারদের সুবিধা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দলের ঢাকা মহানগর কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন, বাজারে আগুন। সবকিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সিন্ডিকেটের হাতে সরকার অসহায় বলেও মন্তব্য করেন তারা।

সরকারের সমালোচনা করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার বিদেশের দোহাই দেয় নিজেদের চুরি ঢাকার জন্য। আজকে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিন বিদেশ থেকে আসার পর যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা শুনে মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ কথা বললে তার ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তার বক্তব্যে সিন্ডিকেট ও মজুদদার ব্যবসায়ীরা মজুদ করবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার কোনোভাবেই দেশ চালাতে পারছে না। বাজারের আগুনে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ পুড়ে মরছে। দেশে সরকার আছে বাজারে গেলে সেটি মনে হয় না। ক্ষমতায় থাকতে ভোটের দরকার নেই, তাই সরকার যা খুশি তাই করে দেশকে গজবের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এখন মানুষের মনে দুশ্চিন্তা, তাহলে কী ৭৪’র মতো দুর্ভিক্ষ হবে? বাজারে গেলে দেখবেন, টাকা দিলেই পণ্য পাচ্ছেন। তার মানে আমাদের উৎপাদন ঠিক আছে। সমস্যাটা হলো মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। গত ৮ মাসে ৪০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে। দেশ সামাল না দিতে পারলে কেন ক্ষমতায় আছেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ বেহেশতে আছে। এটা মোটেই বেফাঁস কথা নয়। বেহেশতে তারা আছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেহেশতে আছেন।

এসময় নেতারা অভিযোগ করেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন করে তুলেছে সরকার। বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে তারা।

/এডব্লিউ