২৪ মে ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে রাজশাহী বিএনপির জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বক্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড় করানোর সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তখন তাকে কবরে পাঠানোর বক্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা যেকোনও অশুভ ফলাফল আদায়ে তৎপর রয়েছে।
বুধবার (২৪ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এম এ আউয়াল এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সমাবেশে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে ‘হত্যার হুমকি’ দেন। ওই সমাবেশে চাঁদ বলেন,‘আমরা আর ২৭ বা ১০ দফা দাবি করব না, এখন একটাই দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর দফা।’
বিএনপিনেতা চাঁদের বক্তব্য বিএনপির অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে উল্লেখ করে এম এ আউয়াল বলেন, ‘আজকে ৫ দিন অতিবাহিত হলেও বিএনপিনেতা চাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিএনপি। উপরন্তু বিএনপি গণতন্ত্র-গণতন্ত্র বলে উপচে পড়ে সব সময়। কিন্তু চাঁদের হুমকি গণতন্ত্রের কোনও মাপকাঠিতে তোলা হয়েছে। আমার প্রশ্ন, চাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বিএনপির শীর্ষনেতৃত্ব কি খুনের রাজনীতিকে উৎসাহিত করছেন?’
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে বলে মনে করেন এম এ আউয়াল। বিবৃতিতে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে একজন জননেত্রীকে হুমকি দিয়ে বিএনপি কী বার্তা দিতে চায়? সরকারকে অবশ্যই এই ঘটনার নির্মোহ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
বাংলাদেশে আর খুনের রাজনীতি চলবে না, উল্লেখ করে এম এ আউয়াল বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে, জাতীয় চারনেতাদের হত্যার মধ্য দিয়ে যে নৈরাজ্যময় রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করানো হয়েছিল, সেই সুযোগ আর এখন নেই। জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।