গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, সোনিয়া আক্তারের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রয়েছে। রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় সামসুল আরেফিন চৌধুরী নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতা ওই ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। সোনিয়া আক্তার প্রায় এক মাসে আগে ফেসবুকে ওই পোস্ট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। এ ঘটনায় সোমবার প্রথম আলোর অনলাইনে ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, এক মাস পর থানায় অভিযোগ দিলেন আ.লীগ নেতা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট সোনিয়া আক্তার তাঁর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে ‘আপত্তিকর’ কথা লেখেন। অনেকে পোস্টটি দেখায় প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন ও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সামসুল আরেফিন চৌধুরী রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক। এক মাস আগের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে এখন অভিযোগ করার কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা সামসুল আরেফিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোনিয়া আক্তার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিজনক কথা বলেছেন। এই পোস্ট মাসখানেক আগে দিয়েছে। অন্য একটি স্ট্যাটাস দেখতে গিয়ে এটি দেখতে পেয়েছি। তা ছাড়া এ–সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে সময় লেগেছে।’
এদিকে সোনিয়া আক্তারকে মধ্যরাতে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। তিনি বলেন, ‘সোনিয়া আক্তারের দুটি ছোট বাচ্চা আছে। মধ্যরাতে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা তো হানাদার বাহিনীর কর্মকাণ্ডের মতো। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের নেত্রীকে সারা দিন শ্রাদ্ধ করে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বজায় রাখে না।’