প্রত্যাশার চাপ ছাড়া ব্যর্থতার কারণ পাচ্ছেন না হাথুরু

দেয়ালে পিঠ ঠেঁকে গেছে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাই অসহায় আত্মসমর্পণ, সরল স্বীকারোক্তি আর দায় মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সাকিব আল হাসান যেমন ‘এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ’ এটা মেনে নিয়েছেন। তেমনি হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘সব দায় আমার’ এমন মন্তব্য করেছেন।

তবে আত্মসমর্পণ ও স্বীকারোক্তির পরও কিছু ফাঁক থেকে গেছে। সাকিব, হাথুরু কিংবা দলের অন্য কেউ সংবাদ মাধ্যমে প্রতিনিথি হয়ে আসলেও ব্যর্থতার বৃত্তে দল কেন বন্দী সেই উত্তর দিতে পারেননি। সকলেই মুখস্তের মতো একটা কথা বলেছেন, এতো খারাপ দল তারা নন। একসঙ্গে খারাপ খেলার কারণ পাচ্ছেন না। সামর্থ্যের ধারেকাছেও তারা যেতে পারেননি।

রোববার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে তবু একটা কারণ উল্লেখ করলেন টাইগারদের লঙ্কান কোচ হাথুরুসিংহে। প্রত্যাশার চাপেই নাকি খারাপ খেলতে শুরু করেছে দল। এটাকেই একমাত্র কারণ মনে করেন তিনি।

হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘আমাদের দক্ষতা তো আর পালিয়ে যাইনি। আমরা অধিক প্রত্যাশার চাপে নুইয়ে পড়েছি। আমার তো মনে হচ্ছে, এটাই (খারাপ খেলার) একমাত্র কারণ। আমরা আগের বিশ্বকাপগুলো যেভাবে খেলেছি, এবার সেভাবে খেলতে পারিনি। খেলোয়াড়রা বড় মঞ্চে ভালো ক্রিকেট খেলতে চেয়েছে। হয়তো একটু বেশিই চেষ্টা করে ফেলেছে। যেটা অনেককে আক্রান্ত করেছে।’

সাকিব আল হাসান এর আগে বলেছিলেন, তারা বিশ্বকাপের জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার তা নিতে পারেননি। এছাড়া বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে কোচ, অধিনায়ক বদল হওয়াও কারণ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছিলেন। হাথুরুসিংহেও একই ধরনের কথা বলেছেন। কোচ হিসেবে সব দায় মাথায় নিলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন বিশ্বকাপের মাত্র সাত মাস আগে।

হাথুরু বলেন, ‘আমি শুরু করেছি সাত মাস আগে। সুতরাং বিশ্বকাপের জন্য সময় পেয়েছি মাত্র সাত মাস। এর মধ্যে অবশ্য কিছু ঘটনা ঘটে গেছে, যা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এসব নিয়ে ভাবার সময়ও নয় এখন। আমাদের মনোযোগ পরবর্তী ম্যাচে। এখন দলকে চাপমুক্ত রাখা আমার কাজ। আর হ্যাঁ, আমি দায়িত্ব নিয়েই বিশ্বকাপের জন্য দল প্রস্তুত করেছি। আমার কাজ কিন্তু শুরু হবে বিশ্বকাপের পর।’

সমকাল