২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ওই কর্মসূচি ২০১৭ সালে হালনাগাদ করা হয়।
আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’-এ বলা হয়েছে, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘প্রতিরক্ষা নীতিমালা-১৯৭৪’-এর আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। সেই নীতিমালার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সশস্ত্র বাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার যে নীতি নিয়েছিল, তা অব্যাহত রাখবে।
এবার প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা বাজেটে প্রতিরক্ষা সার্ভিসের পরিচালন ব্যয় বাবদ ৩৮ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য ১ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সার্ভিসের জন্য পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পরিচালন ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৬ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ ধরা হয়েছে মোট বাজেটের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ; যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
ফোর্সেস গোল-২০৩০ কর্মসূচির অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্যু বহুমাত্রিক যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো, যাতে এ বাহিনী জলে, স্থলে ও আকাশে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠে। এ কর্মসূচির আরও লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কার, জনবল বাড়ানো, আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ। এ ছাড়া বাংলাদেশের সমরাস্ত্র উৎপাদন ও গবেষণার সামর্থ্য অর্জনও অন্যতম লক্ষ্য।
samakal