নারী ক্রিকেটের সঙ্গে হাবিবুল বাশার এখনও সেভাবে সখ্য গড়ে তুলতে পারেননি। একটু একটু করে বোঝার ও জানার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করছেন বিসিবি নারী ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন।
দেশের নারী ক্রিকেটের এ দুই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া নারী দলের সঙ্গে বাকি দেশের সামর্থ্যের ব্যবধান যোজন যোজন। বিসিবি নারী বিভাগের প্রধান বাশার উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করলেন, কেন বাংলাদেশের মেয়েরা অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছেন না। জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়কের মতে, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাকি ক্রিকেট বিশ্বের পার্থক্য দশ ও ছয়। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া ১০ হলে ভারত, নিউজিল্যান্ড ছয়। বাংলাদেশের মেয়েদের সামর্থ্য আরও পেছনে।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি এই তো সেদিন টি২০ সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাশার-শিপনের মতো একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘পেশাদারিত্ব, সুযোগ-সুবিধা, অভিজ্ঞতা এবং শারীরিক সক্ষমতায় অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা অনেক এগিয়ে।’
পরিসংখ্যান দেখলে যে কারও মনে হবে, বাংলাদেশ অধিনায়ক ভুল বলেননি। অ্যালিস হিলির অস্ট্রেলিয়া এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপে সাতবার, টি২০ বিশ্বকাপে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন। সাদা বলের ক্রিকেটের দুই সংস্করণের বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। এত এত বৈশ্বিক ট্রফি যে দলের শোকেসে, তাদের সঙ্গে দেড় যুগ আগে জন্ম নেওয়া নারী ক্রিকেট দলের তুলনা হয় কী করে।
অস্ট্রেলিয়া বর্তমান দলের অনেক মেয়ের খেলার বয়সের সমান বাংলাদেশ নারী দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার বয়স। সেদিক থেকে দেখলে হাবিবুল বাশার বা সাজ্জাদ আহমেদ শিপনের দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে। তাই বলে দেশের মাটিতে খেলা সিরিজেও কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবে না? নির্বাচক শিপনের কাছে এ প্রশ্ন করা হলে একটু ইতস্তত করে বলেন, ‘প্রথম টি২০ ম্যাচ তো ভালো করেছে। রান হয়েছে। কাল আরও ভালো করবে।’
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ১২৬ রানের জবাবে ১৩ ওভারে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। আজ সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় ম্যাচ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। শঙ্কাটা সেই বড় ব্যবধানে পরাজয়ের। এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে একটি পরিবর্তন আনা হতে পারে। পরিবর্তনে ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে কিনা কেউ বলতে পারে না। কারণ অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই বিশ্বের সেরা। যে কোনো কন্ডিশনে অলআউট ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিততে পারে তারা। জানুয়ারিতে যেমন ভারতকে তাদের মাটিতে সিরিজ হারিয়েছে।
samakal