১৭ জুন ২০২৩, ০৬:৫৫ পিএম
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ( জুলাই থেকে মে) বাংলাদেশে তৈরি পোশাক পণ্য ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। শনিবার (১৭ জুন) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলের দেশভিত্তিক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে ইপিবি। এ সময়ে মোট পোশাক রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এর মধ্যে ২১ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক ইইউ বাজারে গেছে। গত বছরেরর তুলনায় এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ইইএস ডলার। চলতি বছর ৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ইউএস ডলারের পোশাক দেশটিতে রপ্তানি করে বাংলাদেশ। যা গত অর্থবছরে ছিল ৮ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার। কানাডায় রপ্তানি করা হয় ১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ান । অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ইউএস ডলারের পোশাক।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। কারণ এটি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য, যেখানে জুলাই-মে ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় জুলাই-মে ২০২২-২৩ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং পোশাক রপ্তানি ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২১ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
জার্মানিতে উল্লেখিত সময়ে পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের (জুলাই-মে ২০২১-২২) তুলনায় রপ্তানি ৭ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে, রপ্তানি ৬ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
ফ্রান্স এবং ইতালিতে রপ্তানি যথাক্রমে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২ দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ৪৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।
উল্লেখিত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে, রপ্তানি ৮ দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৭ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
একই সময়ে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে আমাদের রপ্তানি ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে ৪৫ দশমিক ৫০শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যেখানে রাশিয়া এবং চিলিতে যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।