ফরহাদ মজহার
দেখেন, পুলিশের হাতে অস্ত্র আর তারা গুলি করছে। হেফাজতের হাতে লাঠি। এতেই হিন্দুত্ববাদীদের অবস্থা খারাপ। নরেন্দ্র মোদীর জন্য পুলিশের একশান। আল্লা মালুম যদি সমানে সমানে লড়াই হয়, তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াত।
গুলি, খুন আর নির্বিচার হত্যা সমাধান নয়। পাকিস্তানিরা এই কাণ্ড করে দুই খণ্ড হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর জন্য বাংলাদেশের পুলিশ এখন সেটাই করছে। এর পরিণতিতে উপমহাদেশ দুই খণ্ডে না, কয়েক টুকরায় ভাগ হয়ে যাবে। রোখা যাবে না।
আধুনিক রাষ্ট্রে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের একচেটয়া রাষ্ট্রের , কিন্তু বিরোধী মত বা দলকে দমনের জন্য অতিরিক্ত বল প্রয়োগ লিবারেল উদার রাজনীতিও সমর্থন করে না। সামঞ্জজস্যবিহীন (disproportionate), অর্থাৎ রাষ্ট্রের যতোটুকু দরকার, তার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিরো্ধী কাজ। বাংলাদেশে সরকার ও রাষ্ট্র তাই করছে। ভিন্ন মতের শক্তিকে দমন করতে হলে রাষ্ট্রীয় সহিংসতারর ক্ষেত্রেও সংযম চাই। (একটি দেশের ওপর জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট কমেন্ট বাক্সে দেখুন)। তবে ইসলাম বিরোধী প্রচারণা চালাতে গিয়ে উলটা মানবতার বিরুদ্ধে যারা অপরাধী তাদের অন্যায়ের ভালো একটি ডকুমেন্ট বানিয়ে দিয়েছে এই ভারতীয় পত্রিকা। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন এখন দেখুক।
যে রাষ্ট্র নিজের নাগরিকদের খুন করে, সেই রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী বৈধতা হারায়। এই ধরনের সরকার বদ্লে দেবার বা রেজিম চেইঞ্জের আন্তর্জাতিক আইনও আছে। সেটা Responsibility to Protect নামে পরিচিত। (কমেন্ট বক্সে দেখুন)