- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:৪৮
পুনরায় পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও ভ্রান্ত নীতির কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী, তুঘলকি ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। মাত্র ১৯ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক দফায় বৃদ্ধি করেছে। ১৯ দিন পর আবার খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতি জিনিসের দাম আবারো বৃদ্ধি পাবে। এই বোঝা জনগণ আর সহ্য করতে পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণের সরকার নয় বলেই সরকার জনগণকে চরম দুর্দিনে তারা বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বার বার বৃদ্ধি করছে। এ বিষয়ে সরকরের অনুশোচনা নেই, বরং এসব তুঘলকি কাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জের মতো মিথ্যাচার করছে। গণবিরোধী সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। গত বছর রেকর্ড হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের দাম একমাসেই রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে খুচরা চালাকি করছে। এতদিন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানি করে দাম বাড়াতো। সেখানেও সরকারের ইঙ্গিতে দাম বাড়ানো হতো। এবার সরকার নিজেই এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে দাম বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল বার বার জনগণকে দিতে হচ্ছে। অনুগত লোকদেরকে লাভবান করতে তাদেরকে দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র করিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই তাদেরকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বানানো হচ্ছে। সরকার ও তার অনুগতদের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এই পকেট কাটা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আজ জেগে উঠেছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বিদ্যুতের এই দাম বৃদ্ধি সরকারের গণ-বিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি করে বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ১০ দফাসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করার জন্য জনগণের প্রতি তিনি আবেদন জানান।