শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) পায়রা বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) বন্দরের ইনার এ্যাঙ্করে ৩৬ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে জাহাজটি প্রবেশ করে।
গত ২৬ মার্চ পায়রা বন্দরের সাড়ে ১০ মিটার গভীরতার ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল বা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় (সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফট) জাহাজ ভিড়বে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আর বর্তমানে নিজেদের দেশের সব থেকে গভীরতম বন্দর হিসেবে দাবি করছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন থেকে নিয়মিত বড় বড় সাইজের জাহাজ এই বন্দরে নোঙর করবে। বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ফান্ডের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান জান ডে নুল এই ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করেছে। বিস্তর গবেষণা ও সমীক্ষার পর এই চ্যানেলটি তৈরি করা হয়। এতে ৬০ হাজার টন পণ্যবাহী প্যানাম্যক্স সাইজের জাহাজ সরাসরি বন্দরের টার্মিনালে ভিড়তে পারবে। ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বন্দরের এই চ্যানেলটি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিং কাজ চলমান থাকবে।
এদিকে সরাসরি মাদার ভ্যাসেল থেকে কয়লা খালাস সম্ভব হওয়ায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আনা কয়লা পরিবহনের ব্যয় কমবে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা। আর এ পর্যন্ত এই বন্দরে তিন শতাধিক বিদেশি জাহাজ পণ্য খালাস করেছে বলেও জানান তারা।
২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা সমুন্দ্র বন্দরের ফলক উন্মোচন করেন। আর ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরের আনুষ্ঠানিক পণ্য খালাস কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ইয়ার্ড, সংযোগ সড়কসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৩
এফআর