আমদানি করার মতো পর্যাপ্ত ডলারের রিজার্ভ পাকিস্তানে নেই। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, দেশটি এমন এক সময়ে বড় অঙ্কের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চেষ্টা করছে, যখন লেনদেন ভারসাম্যের বড় ঘাটতিতে ভুগছে পাকিস্তান।
করাচি বন্দরে আমদানি করা হাজার হাজার পণ্যের কনটেইনার অপেক্ষমাণ রয়েছে। বিশ্বের পঞ্চম-বৃহত্তম জনসংখ্যার এই দেশের রিজার্ভ এখন ৩৭০ কোটি ডলার বা ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন। এই অর্থ দিয়ে পাকিস্তান মাত্র ৩ সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম।
মঙ্গলবার আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ইসলামাবাদে পৌঁছেছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পাকিস্তান যে ঋণ চেয়েছে, কঠিন শর্ত দেওয়ার কারণে সে বিষয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে রয়েছে। আইএমএফ প্রতিনিধিদল আবার আলোচনা শুরু করতেই দেশটিতে গেছে।
কোনো বন্ধুদেশের কাছ থেকে পাকিস্তান সহজ শর্তে সাহায্য পাবে, এমন সম্ভাবনা কম। আবার সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। তাই আইএমএফের নানা শর্তে ইসলামাবাদ মাথা নত করতে শুরু করেছে।
কালোবাজারে রুপির বিপরীতে ডলারের দাম হুহু করে বাড়ছিল। তাই বিনিময় হারের ওপর সরকারের যেসব নিয়ন্ত্রণ ছিল, পাকিস্তান তা শিথিল করার পর রুপির দামে রেকর্ড পরিমাণ পতন হয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিমভাবে পেট্রোলের দাম কমিয়ে রাখার পর এখন এর মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে।
দেশটির ব্যাংক প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ আমদানি ব্যতীত অন্য কোনো ঋণপত্র খুলছে না। এ জন্য ডলার না পাওয়ায় বাকিতে নিয়ে আসা হাজার হাজার কনটেইনার–বোঝাই পণ্য করাচি বন্দর থেকে ছাড় করাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
রাজনৈতিক সংঘাত, হত্যা, অর্থনৈতিক সংকট—পাকিস্তান মূলত এসব কারণেই বিশ্ব গণমাধ্যমে স্থান পায়। দেশটি দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের অধীন ছিল। এখন সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় না থাকলেও পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ে। আর এ সবকিছুর সম্মিলিত ফল হলো, এখনকার অর্থনৈতিক সংকট।