পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা’য় ঘন্টাব্যাপী ওই বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করলেও সেগুনবাগিচা বা দূতাবাস কোনো পক্ষই খোলাসা করে কিছু বলেনি। ধারণা মিলেছে, সচিব-রাষ্ট্রদূত বৈঠকে দেশের সম-সাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে।
চলামান রাজনৈতিক পরিস্থিতি আলোচনায় আসতে পারে, বিশেষত নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বার্তা আদান-প্রদান হতে পারে। দেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবসান এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজতে বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ চায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বাংলাদেশের বন্ধু-উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনার সংলাপে বসে রাজনৈতিক বিরোধী মীমাংসা করতে সরকার ও বিরোধী দল এবং নির্বাচনী স্টেকহোল্ডারদের নিয়মিতভাবে উৎসাহিত করছেন।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠক শেষে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান। মার্কিন দূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মানবজমিনের এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার বিকালে বলেন, রাজনীতি ছাড়াও দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক ইস্যু রয়েছে, যা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূতের কথা বলা বা আলোচনার জন্য সরকারী সিস্টেমে বহু উইন্ডো ওপেন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে সচিবের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক বিষয়ে জানতে মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় মুখপাত্র বলেন, কূটনীতিক হিসাবে আমরা বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ে কথা বলি। নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি সংস্থা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী নেতা, চেম্বার অব কমার্স, রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্বশীল ব্যক্তি, সরকারী কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ অনেকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। এসব যোগাযোগ বা আলাপ-আলোচনায় বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও ভালোভাবে আমাদের বুঝতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
মানব জমিন