today-is-a-good-day

ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যাখ্যা: সিকদার হাউজে প্রশ্নের মুখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এমডি

সমকাল প্রতিবেদক

২৫ জানুয়ারি ২৩

ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে মেহমুদ হোসেনের পদত্যাগের ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমডির পদত্যাগের খবরের প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, পদত্যাগের দু’দিন আগে সিকদার হাউজে ডেকে ব্যাংকের আদায় ও সামগ্রিক পারফরমেন্স বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। এসময় তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার বিষয়টি ভিত্তিহীন।

আজ বুধবার ন্যাশনাল ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেনের পদত্যাগ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাকে পদত্যাগে বাধ্য করার বিষয়টি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তিনি তার পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করেছেন। মেহমুদ হোসেন এমডি হিসেবে এক বছরের বেশি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ব্যাংকের কোনো সফলতা আসেনি।

পদত্যাগের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, গত ১৬ জানুয়ারি সোমবার রাজধানীর বনানীর ১১ নম্বর সড়কের সিকদার হাউজে ন্যাশনাল ব্যাংকের সাত থেকে আট জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মেহমুদ হোসেন ব্যাংকের পরিচালকদের সঙ্গে আদায় ও খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত এক বৈঠকে যোগ দেন। ওই বৈঠকে অডিট কমিটির পক্ষ থেকে তাকে ব্যাংকের বিভিন্ন সূচক ও সামগ্রিক পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ জানুয়ারি অডিট কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এসময় তিনি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অডিট কমিটির বৈঠকের এক দিন আগে তথা ১৮ জানুয়ারি পর্ষদের কাছে প্রথমে ছুটির আবেদন করেন। একই দিন ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, বহু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মতো সিকদার হাউজেও নিয়ম অনুযায়ী বৈঠক চলা অবস্থায় সকল কর্মকর্তা ও পরিচালকের মোবাইল ফোন বন্ধ করে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়। ফলে ওই বৈঠকের সময়ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেনসহ উপস্থিত সবার ফোন বন্ধ ছিল। এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে ন্যাশনাল ব্যাংকে সিকদার গ্রুপের হস্তক্ষেপ বিষয়ে নানা নেতিবাচক কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা আদৌ সত্য নয়। বরং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর বনানীতে ‘সিকদার হাউজ’ প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের পারিবারিক বাসভবন। বর্তমানে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা হক সিকদার। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে ব্যাংকটির পরিচালক।