নেতাকর্মীদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন মির্জা ফখরুল

Daily Nayadiganta

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর – ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিজ ইচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়বে না। মেধা ও প্রজ্ঞার লড়াইয়ের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনতে হবে। এজন্য আপনাদের নেতাকর্মীদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। যুদ্ধ করতেই হবে। এরা (আওয়ামী লীগ) এমনি এমনি আপনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে না। এরা একেবারেই ডিক্টেটর বণে গেছে। নির্বাচন করে এরা কোনোদিন জিততে পারবে না। এরা নির্বাচন নিয়ে তামাশা করবে। কিন্তু সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদেরকে জয়ী করবে।

বুধবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচ তলায় জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন করে কখনো আওয়ামী লীগ জিততে পারবে না জেনেই স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় টিকে আছে। নির্বাচনের সময় আসলেই জনগণকে ধোঁকা দিয়ে তারা নির্বাচনী খেলা তৈরি করে। তিনি বলেন, দেশে এখন করোনা আর আওয়ামী লীগ সরকার এই দুই দানব সকল কিছুকে তছনছ করে দিচ্ছে। ফলে আমরা বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছি। এটাকে জয় করতে হবে। এই জয় করেই এগুতে হবে।

n ss (1)
জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওদের কথার কি উত্তর দেব, ওদের কথায় তো ঘোড়াও হাসে। কখন কি বলে না বলে তারা নিজেরাও জানেনা। এসময় তথ্যমন্ত্রীকে উদেশ্য করে তিনি বলেন, মিথ্যা কথা প্রচার করতে করতে ওরা এখন জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধাতো দূরের কথা, স্বাধীনতার ঘোষক দূরের কথা, জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বানিয়েছেন। উনি (হাসান মাহমুদ) এমন ভাবে কথা বলেন জোরেও বলে না, রাগ করেও বলে না। ঠাণ্ডা মেজাজে কথা বলেন মনে হয় সত্যি কথাই বলছেন। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও তারা ইতিহাসকে এভাবে বিক্রিত করতে চলেছে।

জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দীপ্তির সঞ্চালনায় এ-সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বন ও পরিবেশ বিষয়জ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।