দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি মদদে ইফতার মাহফিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ (মসিউজ্জামান–ফারুক)। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে ইফতার মাহফিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘অবৈধ একদলীয় নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ, সীমান্তে লাগাতার বাংলাদেশিদের হত্যা, বাংলাদেশের ওপর ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য বয়কট’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নেতারা এসব কথা বলেন।
গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা আমাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমও চালিয়ে যাব। পাশের দেশের দাদাবাবুদের প্রত্যক্ষ মদদে বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আজকে ইফতার মাহফিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগুন নিয়ে খেলবেন না। দ্রব্যমূল্য কমান, সাধারণ মানুষকে বাঁচতে দিন।’
সভায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসীন রসিদ বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শত্রু। এটা কেউ বুঝতে না পারলে বুঝতে হবে তাদের ভারতীয় কানেকশন আছে।’
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, ভারতের জনগণের সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই, কিন্তু ভারতের শাসকদের সঙ্গে শত্রুতা আছে। ভারত খেদাও আন্দোলন চলছে, চলবে।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, ১২–দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা এহসানুল হুদা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার শীর্ষ নেতা রাশেদ প্রধান প্রমুখ।
Prothom Alo