ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে মত দিলেন চীনের ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট অব চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (আইডিসিপিসি/সিপিসি) মন্ত্রী লিউ চিয়েন ছাউ। বললেন, চীনও বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়। সংবিধানকে সমুন্নত রেখে অনুষ্ঠেয় এমন নিরপেক্ষ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত।
শুক্রবার চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি’র নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মন্ত্রী লিউ চিয়েন ছাউ- এর নেতৃত্বাধীন সিপিসি প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। বৈঠকে ঢাকার প্রতিনিধিদলের বাকি ৩জন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও চীন আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক আহ্বায়ক তরুণ কান্তি দাস কান্তি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য খালেদ মাসুদ আহমেদ ও সদস্য সুমন কুণ্ডু উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ থেকে ১১ই নভেম্বর চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ে সিপিসি’র উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বি আর আই) ‘সিপিসি ইন ডায়ালগ উইথ পলিটিক্যাল পার্টিজ অব সাউথইস্ট অ্যান্ড সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ’ সম্মেলন হয়। এতে বিশেষভাবে আমন্ত্রিত ছিল বাংলাদেশ। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে ৮ই নভেম্বর চীন সফরে যায় চার সদস্যের প্রতিনিধিদল, মঙ্গলবার তারা ঢাকা ফিরেন।
সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিপাইন এবং ভারতসহ এশিয়ার ১৮টি দেশ অংশ নেয়। সেমিনার ও বৈঠকে ৫১টি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিকসহ ২০০-এর অধিক প্রতিনিধি যোগ দেন। সেখানকার প্যানেল আলোচনায় ফারুক খান এমপি বিআরআই’র প্রকল্পে বাংলাদেশে সড়ক ও সেতু নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রাজধানী শহর এবং গ্রামীণ বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগ সহজীকরণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব প্রকল্প সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নিঃসন্দেহে একটি ভালো ও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
চীন কী ঋণের ফাঁদে বাংলাদেশকে ফেলেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, আমার কাছে মনে হয়, এটা একটি অপপ্রচার। যেখানে ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের জীবনমানের সুফল দৃশ্যমান, সেক্ষেত্রে এমন পারসেপশন বা ধারণার সঙ্গে বাংলাদেশ মোটেও একমত নয়।
মানব জমিন