রংপুর
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনে আমরা কারও সঙ্গে জোট করব কি করব না, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এখন আমরা নির্বাচন করার জন্য ৩০০ আসনে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেভাবে আমরা প্রার্থী সিলেকশন করছি। আমাদের দল শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর নগরের দর্শনা এলাকায় পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, ইভিএমে কারচুপি হতে পারে। ইভিএমের মাধ্যমে সরকারি দল প্রভাব বিস্তার করে নানাভাবে রেজাল্ট ছিনতাই করতে পারে। সরকারি দলের অধীনে সবকিছু থাকায় তারা ক্ষমতা দেখিয়ে থাকে। রেজাল্ট নিজের পক্ষে নিয়ে যেতে পারে। এসব কথা আমরা সব সময় বলে আসছি। নির্বাচন কমিশন নিজেই স্বীকার করেছে যে ইভিএম দিয়ে নির্বাচন সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না, আয়ত্তে আনা সম্ভব হচ্ছে না।’
সরকারের বড় বড় প্রকল্প নিয়ে জি এম কাদের আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেও বলেছেন খাদ্যসংকটের মাধ্যমে দেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। এটা মোকাবিলায় সরকারের এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান ছাড়াও ন্যায্যমূল্যে জনগণকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার দাবি আমরা করছি। সরকারের উচিত বড় বড় মেগা প্রজেক্টসহ অপ্রয়োজনীয় যেসব প্রজেক্ট আছে, সেগুলো চালু না রেখে বন্ধ করা।’
জি এম কাদের বলেন, মূল্যস্ফীতি যেভাবে ঘটছে, সাধারণ জনগণের ব্যয় নির্বাহ করা কষ্টকর হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। ফলে বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
বর্তমানে জাতীয় পার্টির বিরোধ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘কে কী বলে বলুক, আমরা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছি না। যারা এসব কথা বলছে, সেগুলা অবাস্তব কথা। এসব বিষয়ে আমি মনে করি মতামত দেওয়া ঠিক নয়। যারা জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করছে, আমরা তাদের নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নই।’
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আদেলুর রহমান আদেল, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও রংপুর মহানগরের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাসুদ চৌধুরী, সদস্যসচিব আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।